ফাইল ছবি।
কথা ছিল দু’শো পার করবে দল। কথা ছিল গঙ্গাপারের নীলবাড়ি দখল করবে বিজেপি। কিছুই হয়নি। সরকার গঠনও হয়নি। কিন্তু ‘যদি’ হত, কে মুখ্যমন্ত্রী হতেন? এত দিন নিজের মুখে সে কথা না বললেও শনিবার নিজের মনোবাসনা স্পষ্ট করে দিলেন দিলীপ ঘোষ। আনন্দবাজার অনলাইনের ইউটিউব ও ফেসবুক লাইভ ‘অ-জানাকথা’অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘যদি সরকার গঠনের জায়গায় আমরা পৌঁছতে পারতাম তবেই এই প্রশ্ন উঠত। আর তাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বললে আমি অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি হতাম।’’
নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে বিজেপি কাউকে মুখ হিসাবে রেখে লড়াই না করলেও অনেক ‘মুখ’ ছিল সামনে। গেরুয়া শিবির ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠলেও সেই সময় কোনও জবাব দেয়নি বিজেপি। অমিত শাহ, জেপি নড্ডারা বারবার বলে গিয়েছেন বাংলার কোনও ভূমিপুত্রই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। শাসক তৃণমূলের মুখ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। দলের স্লোগান ছিল, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। এই স্লোগানের জবাব দিতে ‘ভূমিপুত্র’ শব্দ ব্যবহার করলেও কোনও ভূমিপুত্রের নাম করা হয়নি। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলে, এটা বড় ভুল হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের। নির্দিষ্ট কারও নাম না বলায় ভোটারদের কাছে বার্তা পৌঁছায়নি। বিজেপিতে যে এটা নতুন কিছু নয় এবং এমন উদাহরণ ত্রিপুরা থেকে উত্তরপ্রদেশ সর্বত্রই রয়েছে সেটাও শনিবার মনে করিয়ে দেন দিলীপ।তবে দিলীপের কথাবার্তা, দিলীপের ভাষাও কি বিজেপির রথের চাকা আটকে দিয়েছে? দিলীপ অবশ্য সেটা মানতে চান না। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘আমি তো সাধারণ মানুষের কথা শুনেই বলি। পরিকল্পনা তৈরি করি। তার সুফল বিভিন্ন ভোটে দেখা গিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট থেকে লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য আমার সভাপতিত্ব কালেই হয়েছে। তাই আমার জন্য যদি ভোট কমে যেত তবে তা আগেই হত। সেটা কোনও কারণ নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy