বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ছবি পিটিআই।
দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাবের বদলে নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়ার যে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন, সেখানেও দুর্নীতি হবে বলে আগাম অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার ইকো পার্কে তিনি বলেন, ‘‘ওই পড়ুয়াদের তালিকাতেও দলের নেতাদের ছেলে-মেয়েদের নাম ঢোকানো হচ্ছে। আমপানের ক্ষতিপূরণের টাকার মতোই এখানেও দুর্নীতি হবে। কাটমানি যাবে নির্বাচনী তহবিলে।’’
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘তৃণমূল নরেন্দ্র মোদীর দল নয় যে, সব লুটেপুটে খেয়ে নেবে। সারা দেশ বিক্রি করে লুটে খাচ্ছে বিজেপিই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, টাকা যাবে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে। কিন্তু দিলীপবাবু রাজনৈতিক মুখ্যুসুখ্যু মানুষ। কিছু একটা বলতে হবে, তাই বলেছেন।’’ দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্র ও অন্য রাজ্য মিলিয়ে আট মন্ত্রী এবং অন্য রাজ্যের দলীয় নেতা— সকলকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট জিততে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। যে কারণে তৃণমূল নেতৃত্ব বার বার বিজেপি-কে ‘বহিরাগত’-খোঁচা দিচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য নেতাদের উপরে আস্থা নেই বলে অন্য রাজ্য থেকে নেতা এনে বাংলা দখলের মরিয়া চেষ্টা করছে বিজেপি। তার জবাবে দিলীপ এ দিন ফের বলেন, ‘‘মাদার টেরেসা, ভগিনী নিবেদিতা বিদেশ থেকে এসেছিলেন। তাঁরা আপন হয়ে গেলেন, আর গুজরাত থেকে এলে বহিরাগত?’’
গত রবিবার বোলপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে শাহ অভিযোগ করেন, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, শিল্প, উন্নয়নের সব মাপকাঠিতেই পিছিয়ে এ রাজ্য। শাহ ভুল তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে মঙ্গলবার পরিসংখ্যান-সহ তার জবাব দিয়েছেন মমতা। দিলীপ অবশ্য এ দিন প্রত্যাশিত ভাবেই পাল্টা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যা বলবেন, সেটা ঠিক তথ্য? তা হলে সে সব কোনও বিভাগের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় না কেন? কত লোক চাকরি পেয়েছেন, সেই সংখ্যাটা একমাত্র উনিই জানেন। মানুষ ঠিক করবে, কোনটা ঠিক তথ্য। ভোটে তার ফলও মিলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy