ফাইল ছবি
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাংলা সফরের মুখে রাজ্যে সন্ত্রাস ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগকেই ফের সামনে আনল বিজেপি। শাহি সফরের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে ১০ দফা আক্রমণে বিঁধে চার্জশিট দিল তারা। দলের রাজ্য দফতর মুরলিধর সেন লেনে বসে মঙ্গলবার ‘প্রতারণার ১০ বছর’ নাম দিয়ে প্রচারপত্র প্রকাশ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষেরা। যদিও তৃণমূলের সরকারকে আক্রমণ এ দিন মূলত শানিয়েছেন সুকান্তই। শাসক তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, হিংসার মনগড়া অভিযোগ করছে বিজেপি।
বাংলায় দু’শো আসন জেতার লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিলেন শাহ। তার অনেক দূরে থেমে যাওয়ার পর থেকে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগকে হাতিয়ার করে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার চালিয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। নানা ঘটনায় সিবিআই তদন্ত থেকে ৩৫৬ ধারা জারির দাবি, কিছুই বাদ রাখেনি তারা। তৃণমূলের তৃতীয় সরকারের বর্ষপূর্তির সময়ে সেই সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেই সুকান্ত এ দিন বলেছেন, ‘‘নির্বাচনের পর থেকে আমাদের ১৫,০০০ কর্মী ঘর ছাড়া। রাজ্যে ৭,০০০ মহিলার শ্লীলতাহানি কিংবা ধর্ষণ হয়েছে। খুন হয়েছেন ৫৬ জন কর্মী। তৃণমূলের আমলে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। গুণ্ডারাজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’’ নারী নির্যাতন, সার্বিক আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রসঙ্গ এনে তৃণমূল সরকারের শিল্প নীতিকেও কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রশ্ন, রাজ্যের এমন পরিস্থিতিতে শিল্পপতিরা বিনিয়োগ করতে আসবেন কেন?
তৃণমূলের নেতা তাপস রায়ের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘রাজ্যে ২০১৯ ও ২০২১-এর নির্বাচনের আগে তাঁরা বাংলার মানুষকে যে ভাবে সন্ত্রস্ত করেছিলেন, এ বারও সেই রকম পরিস্থিতি তৈরি করবেন না তো? কলকাতায় শাহের কর্মসূচিকে সামনে রেখেই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে অশান্তি তৈরির চেষ্টা হয়েছিল। হিংসার মনগড়া অভিযোগ করে বিজেপি কি সেই রকম পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy