গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা, শুভেন্দু অধিকারী ও মনোজ টিগ্গা। নিজস্ব চিত্র।
দলত্যাগের পরেই বিজেপি নেতৃত্বের বিরোধী দলনেতা চয়নের সিদ্ধান্তকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। অভিযোগের সুরে বললেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীকে বিরোধী দলনেতা পদে বসিয়ে আদি নেতাদের প্রতি বঞ্চনা করেছে বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব।’’ সোমবার কলকাতার তৃণমূল ভবনে আলিপুরদুয়ার বিজেপি-র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ সহ আট জন নেতা তৃণমূলে যোগদান করেন। তার পরেই বিরোধী দলনেতা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টি বিরোধী দলনেতার পদ প্রাপ্য ছিল বিরোধী মনোজ টিগ্গার। ওই পদ পাওয়ার অধিকার ছিল মনোজের। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি তো নিজের কর্মীদের মর্যাদা দিতে জানে না! তাই এ ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়নি।’’
তবে একদা সতীর্থের এই মন্তব্যে আমল দিতে চাননি বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে যে তিন জন বিজেপি বিধায়ক জয়ী হয়েছিলেন, তাঁদেরই একজন মনোজ। তিনি আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাটের দু'বারের বিধায়ক। মনোজ বলেছেন, ‘‘আমি দলের একনিষ্ঠ সৈনিক। দল যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে, তখন সাধ্য মতো সেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দল কাকে কী দায়িত্ব দেবে, তা ঠিক করবেন শীর্ষ নেতৃত্ব। আর সেই নির্দেশ হবে আমার কাছে শিরোধার্য। তাই কোথায় কে কী বলল, তা নিয়ে আমি কোনও জবাব দেব না।’’
প্রসঙ্গত, এ বার বিজেপি-র যে ৭৭ জন বিধায়ক জয়ী হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ২৬ জন উত্তরবঙ্গ থেকেই। কিন্তু সাংসদ পদে থেকে যাওয়ার দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে দিনহাটা থেকে জিতেও পদত্যাগ করেছেন কোচবিহারের সাংসদ নীশিথ প্রামাণিক। তাই উত্তরবঙ্গের বিধায়ক সংখ্যা ২৫ জন। সেই সূত্রেই উত্তরবঙ্গ থেকে বিরোধী দলনেতা বাছাইয়ের দাবিও উঠেছিল বিজেপি-র অন্দরে। কিন্তু নন্দীগ্রাম আসনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়ী শুভেন্দুকে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব বিরোধী দলনেতা হিসেবে বেছে নেন। আর সোমবার দলত্যাগের পর বিজেপি নেতৃত্বের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন গঙ্গাপ্রসাদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy