— ফাইল চিত্র।
এখনও বেশ কয়েক মাস বাকি রয়েছে লোকসভা নির্বাচনের। এরই মধ্যে ২০২৪ সালের ভোট প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কলকাতায় এসেছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার পদমর্যাদার দুই আধিকারিক। সোমবার কলকাতার একটি হোটেলে রাজ্যের সব জেলাশাসকের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করেন। আর মঙ্গলবার বিজেপি গিয়ে কমিশনের কাছে একগুচ্ছ দাবি জানিয়ে এল। তাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে হওয়া পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে অভিযোগের কথাও উল্লেখ করল বিজেপি।
সোমবারের বৈঠকেই কমিশনের তরফে রাজ্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে কোনও রকম ত্রুটি থাকা চলবে না। সংশোধিত ভোটার তালিকা থেকে মৃতদের নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। সেই জন্য নির্বাচন কমিশন জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছে। আর মঙ্গলবার বিজেপি দাবি করল, ভোটার তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে এক জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হোক। রাজ্যের বাইরের পর্যবেক্ষকের মাধ্যমে ভোটার তালিকার সংশোধনের কাজ হোক। বিজেপির দাবি, রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের অধীনে কাজ হলে তা নিরপেক্ষ হবে না।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে কয়েকজন জেলাশাসক ও বিডিও-র বিরুদ্ধে শাসক তৃণমূলের হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। লোকসভা নির্বচনের ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের কথাও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির তিন নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, শিশির বাজোরিয়া এবং লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। লিখিত দাবিও জমা দেন। তাতে তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মসূচি ‘দিদিকে বলো’ এবং সরকারের ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ একই ফোন নম্বর দিয়ে চালানোর প্রসঙ্গেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’-এর মাধ্যমে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ হলে তা নিরপেক্ষ হবে না বলেও দাবি করা হয়েছে।
ভোটার তালিকার সংশোধনের জন্য অতীতে পর্যবেক্ষক নিয়োগের নজির রয়েছে। এ বারেও সেটাই চাইছে বিজেপি। প্রসঙ্গত নির্বাচন কমিশন চাইছে, আগামী ১ নভেম্বর সংশোধিত ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করা হবে। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy