গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
হাতে আর দিন সাতেক সময়। আগামী বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে শাহের এই সফর বিজেপি নেতা হিসাবেই। দফায় দফায় রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা। মূল কর্মসূচি সল্টলেকের পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র (ইজ়েডসিসি) বাংলার জন্য সদস্য সংগ্রহ অভিযানের আনুষ্ঠানিক সূচনা। শাহের সফরের আগে জেলা নেতৃত্বকে কড়া রুটিন তৈরি করে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। সেই সঙ্গে দলের সাংসদ, বিধায়কদের সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ দলের ১২ জন বিধায়ককে কমপক্ষে ১০ হাজার সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ দলের সব বিধায়কের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা ন্যূনতম পাঁচ হাজার।
গত ২ সেপ্টেম্বর বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে গোটা দেশে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সে দিন নতুন করে সদস্য বানান দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। সেই সঙ্গে সব রাজ্যেই শুরু হয় কর্মসূচি। তবে বাংলায় আরজি কর-কাণ্ডের জেরে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচি থাকায় রাজ্য বিজেপি তা শুরু করেনি। রাজ্য ও জেলা স্তরের নেতা, সাংসদ, বিধায়কেরা কিছু কিছু সদস্য সংগ্রহ করলেও আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে আগামী বৃহস্পতিবার শাহের উপস্থিতিতে। সেই দিন থেকে শুরু করে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শেষ করতে চায় রাজ্য বিজেপি। সেই কারণে এখন থেকেই কী ভাবে সে কাজ করতে হবে তার রুটিন বানিয়ে জেলা নেতৃত্বকে পাঠিয়ে দিয়েছেন এই কর্মসূচি পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দলীয় নেতাদের চিঠি পাঠিয়ে কবে থেকে কোন স্তরে কী করতে হবে তা সবিস্তার জানিয়েছেন শমীক।
শাহ আসার আগে গোটা রাজ্যে প্রস্তুতি বৈঠক সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে শাহের হাতে অভিযান শুরু হওয়ার পরে কী ভাবে তা চলবে তার বিভিন্ন দফাও ঠিক করে ফেলেছে বিজেপি। পদ্মশিবিরের রীতি অনুযায়ী, সদস্য হওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে ‘মিসড্ কল’ দিতে হবে। এর পরে সদস্য হতে চাওয়া ব্যক্তির মোবাইলে আসা লিঙ্কে গিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হবে। এই গোটা প্রক্রিয়াটা করতে হবে কোনও না কোনও নেতার মাধ্যমে। যে নেতা এমন ১০০ জন সদস্য বানাতে পারবেন তাঁরাই সক্রিয় সদস্য হওয়ার সুযোগ পাবেন। সক্রিয় সদস্য হওয়ার জন্য প্রতিটি সাংগঠনিক মণ্ডলে ১০০ জনকে সক্রিয় করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলায় জেলায় পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী শনিবারের মধ্যে সর্বত্র প্রস্তুতি বৈঠক সেরে ফেলতে হবে। সেই জেলায় থাকা সাংসদ, বিধায়ক এমনকি কেন্দ্রীয় কোনও নেতা থাকলে তিনিও যেন প্রস্তুতি বৈঠকে অংশ নেন। এর পরে রবি ও সোমবারের মধ্যে বুথ স্তর পর্যন্ত প্রস্তুতি বৈঠক করে ফেলতে হবে। কারা সক্রিয় সদস্য হতে চান চার তার তালিকাও তৈরি করে ফেলতে হবে। রাজ্য বিজেপি চায় বাংলায় সদস্য সংখ্যা কত হতে পার তার একটা প্রাথমিক হিসাব বৃহস্পতিবার শাহকে দেওয়া হবে।
আর শাহের সফরের দিনেই রাজ্যের সর্বত্র বুথ স্তরে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে হবে। দলের কোনও না কোনও দায়িত্বে রয়েছেন এমন প্রত্যেককে ওই দিনই কমপক্ষে ১০০ সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। দলের সব মোর্চা নেতৃত্বকেও তাতে অংশ নিতে হবে। ২৪ থেকে ৩০ অক্টোবর, ১ থেকে ৭ নভেম্বর এবং ৯ থেকে ১৫ নভেম্বর তিন দফায় হবে সদস্য সংগ্রহ অভিযান। মাঝে ৩১ অক্টোবর এবং ৮ নভেম্বর সর্বত্র পর্যালোচনা এবং পরবর্তী পরিকল্পনা তৈরির বৈঠক করতে হবে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শমীকের পাঠানো চিঠিতে এটাও বলে দেওয়া হয়েছে যে, আগামী ২৬ অক্টোবর হবে সদস্য সংগ্রহের বিশেষ কর্মসূচি। সে দিন দলের সব স্তরের নেতা, সাংসদ, বিধায়কদের নিজের নিজের বুথে থেকে অভিযানে অংশ নিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy