রাজ্যে বিজেপি সভাপতি নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সংগঠনের নানা অংশে ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়।
সামনে উত্তরপ্রদেশে মহারণ। ২০২৪ সালে কেন্দ্রে ফের নরেন্দ্র মোদীকে সরকার গড়তে হলে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে ভাল ফল করতেই হবে। আর তা নিয়ে ব্যস্ত বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বঙ্গের গেরুয়া শিবিরের কোন্দল নিয়ে আপাতত মাথা ঘামাতেই চাইছে না। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতারা যেমন চাইছেন তেমনই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীও দিল্লির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছেন। কিন্তু সকলের কাছেই উত্তর এসেছে, আগে উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন পর্ব মিটুক তার পরে আলোচনা হতে পারে। আপাতত নিজেদের কোন্দল নিজেদেরই মেটাতে হবে।
রাজ্যে বিজেপি সভাপতি নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সংগঠনের নানা অংশে ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়। আর জেলা সভাপতিদের নতুন তালিকা প্রকাশের পর থেকে সে বিক্ষোভ বাড়ে। সংগঠনে যথেষ্ট মতুয়া প্রতিনিধিত্ব নেই বলেও অভিযোগ ওঠে। দলবেঁধে মতুয়া বিধায়করা সাংগঠনিক হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দেন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের নেতা মতুয়া সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জানান, তিনি এ নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে কথা বলবেন। এর পরে নড্ডার বাংলা সফর থাকলেও রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় তা বাতিল হয়। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে গিয়েও বৈঠক করতে চান শান্তনু। তবে নড্ডার তরফেই উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন মেটার জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। দিল্লিতে রাজ্যের কয়েকজন বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে গিয়ে নড্ডা এবং অমিত শাহর সঙ্গে নতুন বছরে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকের সম্ভাবনাও আপাতত নেই। দিল্লির একটাই বক্তব্য, যাই হোক ১১ মার্চের আগে কিছু নয়। প্রসঙ্গত ১০ মার্চ উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের ফল ঘোষণা।
মাঝে কলকাতায় একদিনের জন্য এসেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। তিনি কিছু কড়া নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন। একই সঙ্গে কোন সংগঠনে কারা নেতৃত্বে থাকতে পারবেন তা নিয়ে বয়স বেঁধে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই বয়সের সীমারেখা নিয়েও তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। এ সবের আগে থেকেই রাজ্য বিজেপি-র বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করেন সুকান্ত, দিলীপ ঘোষরা। কিন্তু তাতেও শুধুমাত্র সন্তোষের সঙ্গেই ঘরোয়া আলোচনা সম্ভব হয়েছিল। সব মিলিয়ে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, আগে উত্তরপ্রদেশ, তারপরে বাকি সব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy