বিনয় মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
কবি বিনয় মজুমদারের পাওয়া সাহিত্য অকাদেমির স্মারক চুরি গেল। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ঠাকুরনগর স্টেশনের কাছেই প্রয়াত কবির বাড়ি। সংলগ্ন এলাকায় কবির নামে রয়েছে গ্রন্থাগার। সেখানেই রাখা আছে নানা স্মারক, স্মৃতিচিহ্ন। প্রতি দিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গ্রন্থাগার খোলা থাকে। গ্রন্থাগারের সম্পাদক বৈদ্যনাথ দলপতি সোমবার বিকেল সওয়া ৫টা নাগাদ এসেছিলেন। তাঁর চোখে পড়ে, কাঠের দরজায় তালা দেওয়া থাকলেও কিছুটা অংশ ফাঁক হয়ে আছে। দেখেন, আলমারি থেকে সাহিত্য অকাদেমির স্মারকটি উধাও। খবর যায় পুলিশে।
ষাটের দশকের শুরুতে বিনয়ের লেখা বই ‘ফিরে এসো চাকা’র লাইন এক সময়ে বাংলা কবিতার পাঠকের মুখে মুখে ফিরত। ‘হাসপাতালে লেখা কবিতাগুচ্ছ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য ২০০৫ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান তিনি। বৈদ্যনাথ বলেন, ‘‘ওই আলমারির চাবি থাকে আমার টেবিলের ড্রয়ারে। সেখান থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে শুধু ওই স্মারকটিই নিয়ে গিয়েছে চোর।’’ তিনি জানান, কবির পাওয়া রবীন্দ্র পুরস্কারের স্মারকে হাত দেয়নি চোর। এমনকি, ড্রয়ারে থাকা টাকাও ছোঁয়নি। পুলিশ মনে করছে, গ্রন্থাগারে আনাগোনা ছিল চোরের।
আরও পড়ুন: চোর শিক্ষিতই, মনে করছে পুলিশ
আরও পড়ুন: অনাদরে হারিয়ে যাচ্ছে বিনয়ের বহু স্মৃতিই
মঙ্গলবার সকালে কবির বসতবাড়ির চত্বরে একটি সবেদা গাছের তলায় গ্রন্থাগারের সদস্যেরা ফাইবারের ভাঙা বাক্স পড়ে থাকতে দেখেন। ওই বাক্সেই ছিল স্মারকটি। গাছতলায় পড়েছিল কবির নাম লেখা ধাতব পাতটিও। সোমবার রাতে পুলিশ তন্নতন্ন করে খোঁজাখুঁজি করে। তখন কিছুই দেখা যায়নি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিভ্রান্তি ছড়াতেই রাতে বাক্স ও নেমপ্লেট ফেলে রেখে গিয়েছে চোর। স্থানীয় মানুষের কারও কারও অনুমান, স্মারকটি সোনার জল করা ছিল। হয় তো সেটি সোনার মনে করেই চুরি করেছে কেউ। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy