—ফাইল চিত্র।
দেড় বছরেরও বেশি সময় জিটিএ-র চেয়ারম্যান ছিলেন বিনয় তামাং। জিটিএ-র মাধ্যমেই পাহাড়ে উন্নয়নের পরিকল্পনার কথা শুনিয়েছেন বিভিন্ন সভায়। সেই বিনয় মঙ্গলবার বললেন, ‘‘জিটিএ নিয়ে আমরা খুশি নই।’’ তাঁর মতে, পাহাড়ের অবস্থা এখন ক্যানসার রোগীর মতো। বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন। জিটিএর মাধ্যমে যা সম্ভব নয়।
এ দিন শিলিগুড়ির কাছে দাগাপুরের পিনটেল ভিলেজে বসে জিটিএ নিয়ে নিজের অসন্তোষের কথা জানান বিনয়। যদিও জিটিএর বিকল্প কী, তা খোলসা করেননি।
লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবারও বলেন, ‘‘আমি গোর্খাল্যান্ডের বিরুদ্ধে নই।’’ তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কারই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি পৃথক রাজ্যের বিরুদ্ধে। জিটিএ চুক্তির পুর্নমূল্যায়ন করার কথাও বলেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে তাঁর সহযোগী দলের সভাপতির এই মন্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পাহাড়ে। যদিও এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘যা বলার রাজ্য নেতৃত্বই বলবেন।’’ তবে বিনয় এ দিনও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর আস্থা রয়েছে।
গোর্খাল্যান্ড প্রসঙ্গে বিনয়ের যুক্তি, ভারতের সঙ্গে নেপাল ও ভুটানের চুক্তির পূর্নমূল্যায়ন না করা হলে গোর্খাল্যান্ড পাওয়া যাবে না। তাই দুই চুক্তি পুর্নমূল্যায়নের দাবিও তুলেছেন তিনি। বিনয় জানান, জিটিএ চুক্তি অনুযায়ী মোট ৫৩টি দফতর রাজ্যের কাছে থেকে জিটিএ-তে হস্তান্তরিত হওয়ার কথা। অথচ এখনও ৩৭টি দফতর হস্তান্তরিত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে কোন কোনওটির আবার আংশিক হস্তান্তর হয়েছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার, শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর সহ বাকি সব দফতরের দ্রুত হস্তান্তর জরুরি বলেই মত বিনয়ের।
গোর্খাল্যান্ড সহ পাহাড়ের নানা দাবি প্রসঙ্গে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ক তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন না বলেও অভিযোগ করেন বিনয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy