ছবি: সংগৃহীত।
বিজেপি ও তৃণমূলকে এক বন্ধনীতে বিঁধে ‘বিজেমূল’ স্লোগান ব্যবহার ভুল। বিজেপির সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলেরই তুলনা চলে না। এ বার দলের পাঠচক্রেও এই কথা নেতা-কর্মীদের বলবে সিপিএম। যার সূচনা হতে চলেছে আজ, বৃহস্পতিবার মুজফ্ফর আহমেদের (কাকাবাবু) জন্মদিন থেকে।
বিধানসভা ভোটে বেনজির বিপর্যয়ের পরেই রাজ্য কমিটির নির্বাচনী পর্যালোচনা রিপোর্টে সিপিএম স্বীকার করে নিয়েছিল, বিজেপি-বিরোধিতায় তাদের ঘাটতি ছিল। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই গত মাসে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সামাজিক মাধ্যমে দলের সর্বস্তরের কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতায় সরাসরি কবুল করেছিলেন, ‘বিজেমূল’ জাতীয় স্লোগানের ব্যবহার মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছিল। বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সব বিষয়েই ‘বোঝাপড়া’ রয়েছে, এমন ইঙ্গিত সিপিএম নেতৃত্বের প্রচার থেকে উঠে আসায় তার ফল একেবারেই ভাল হয়নি। এ বার পাঠচক্রের জন্য সব জেলা কমিটি এবং রাজ্য কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত ইউনিটের কাছে পাঠানো রাজ্য সম্পাদকের পাঠানো নোটেও সেই কথা স্পষ্ট ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে। কাকাবাবুর জন্মদিন উপলক্ষে শাখা ও এলাকাভিত্তিক যে পাঠচক্র আয়োজন করতে চলেছে সিপিএম, সেখানে এই নোটের ভিত্তিতেই আলোচনার রূপরেখা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়ের নাম— ‘নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি ও আমাদের কাজ’। কাকাবাবুর জন্মদিনে আজ প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে কোভিড-বিধি মেনে সিপিএমের সভাও হওয়ার কথা।
দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সব প্রার্থী, জেলা কমিটি ও গণসংগঠনের কাছ থেকে আসা মতামতের উপরেই রাজ্য কমিটির পর্যালোচনা রিপোর্ট তৈরি হয়েছিল। পর্যালোচনার অভিজ্ঞতায় যে ভুল-ভ্রান্তি ধরা পড়েছে, সেই বিষয়ে দলের সর্ব স্তরের অবহিত থাকা প্রয়োজন। সেই জন্যই এই বক্তব্য নথিবদ্ধ করে রাখা হচ্ছে।’’
সিপিএমের নোটে বলা হয়েছে: ‘পার্টির কর্মসূচিগত বোঝাপড়া হল, বিজেপি আর অন্য কোনও রাজনৈতিক দলই এক নয়। কারণ, বিজেপিকে পরিচালনা করে ফ্যাসিবাদী আরএসএস। এটাই পার্টির বোঝাপড়া কিন্তু নির্বাচনের সময় কোথাও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, বিজেপি আর তৃণমূল সমান। ‘বিজেমূল’ জাতীয় স্লোগান বক্তৃতায় ব্যবহার করা, বিজেপি-তৃণমূল মুদ্রার এ পিঠ-এ পিঠের মতো কথা কিছু বিভ্রান্তির জন্ম দিয়েছে’। সূর্যবাবু আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, কার্যক্ষেত্রে নীতি বা মনোভাবের দিক দিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে ফারাক পাওয়া অনেক সময়েই কঠিন। কিন্তু ওই দু’দলের ‘বোঝাপড়া’র ইঙ্গিত না দিয়েও সেই সমালোচনা সম্ভব।
পাঠচক্রের নোটে সিপিএমের হুঁশিয়ারি রয়েছে, ‘বিজেপি নির্বাচনে পরাজিত হলেও তার বিপদ ছোট করে দেখা যায় না। আবার তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতাসীন তৃণমূলের স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিগ্রস্ত শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই দুর্বল হলে বিজেপিই লাভবান হবে’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy