সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন নীতীশ কুমার। ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার নয়। সোমবারই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডি(ইউ) নেতা নীতীশ কুমার। এমনটাই খবর নবান্ন সূত্রে।
রবিবার সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর মিলেছিল, মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় রাজ্যের প্রশাসনিক দফতর নবান্নে বৈঠকে বসবেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। পরে রাতের দিকে নবান্ন সূত্রে খবর মিলেছে, মঙ্গলবার নয়, নীতীশ এবং মমতার বৈঠক সোমবার হবে। তবে বৈঠকের সময় একই থাকছে।
পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। হাতে মাত্র এক বছর। তার আগে নীতীশ-মমতা বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে এখনও কিছু জানা না গেলেও, জাতীয় রাজনীতির বৃত্তে যাঁরা ঘোরাফেরা করেন, তাঁদের মত, বিরোধী জোট নিয়েই দুই রাজনীতিকের আলোচনা হতে পারে। তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেপির বিরুদ্ধে সব দলকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। সমমনোভাবাপন্ন দলগুলি একজোট হওয়ায় বিজেপির রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে।” সূত্রের খবর, মমতার সঙ্গে বৈঠকের পর নীতীশের গন্তব্য হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ। লখনউয়ে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর।
সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন নীতীশ। রাজধানীতে দাঁড়িয়ে নীতীশ জানিয়েছিলেন, বিরোধী জোট গঠনের উদ্দেশে তিনি সব নেতানেত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। ওই সফরে নীতীশের সঙ্গে দেখা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। বিরোধী জোট নিয়ে বাম নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও কথা বলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তবে সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় আলাদা করে উল্লিখিত হয় মমতা এবং অখিলেশের কথা। কারণ, বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে তাঁদের অবস্থান সুস্পষ্ট হলেও বিরোধী জোটে কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল তৃণমূল এবং সপা। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের পর অবশ্য খড়্গের ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠায় তৃণমূল। ইদানীং বিজেপির বিরুদ্ধে সকলকে এক হওয়ার বার্তা দিতে দেখা যাচ্ছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও। তিনি বহুবার জানিয়েছেন, বিরোধী দলগুলি এক হলে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে না। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনকে ফোন করেছিলেন মমতা। ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন নিজেই টুইট করে সে কথা জানান। ঘটনাচক্রে, নীতীশ এবং স্ট্যালিন দু’জনেই ইউপিএ জোটের শরিক। এ বার কথা হতে চলেছে নীতীশ-মমতার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy