Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Bhatpara Bank Scam

ভাটপাড়া সমবায় ব্যাঙ্কে জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার অর্জুন সিংহের ভাইপো

এক তদন্তকারী বলেন, “পুরসভার কাজের জন্য এই ঋণ দেওয়া হলেও আমরা তদন্তে নেমে দেখেছি প্রায় সাড়ে এগারো কোটি টাকা পাপ্পু সিংহের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে।”

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২০ ২২:৪৫
Share: Save:

ভাটপাড়া সমবায় ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের ভাইপো সঞ্জিত ওরফে পাপ্পু সিংহকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা।

ব্যারাকপুর পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “ব্যাঙ্কের আর্থিক প্রতারণার ঘটনায় অন্তত চার বার ৪১এ ধারায় পাপ্পুকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দেননি। এর পর পাপ্পুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার জন্য আদালতে যায় পুলিশ। তার পরই এ দিন পাপ্পু সিংহ পুলিশ কমিশনারেটে যান এবং তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করেন।”

পুলিশের দাবি, ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার ব্যাপারে ওই নেতার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ রয়েছে। ব্যাঙ্ক জালিয়াতির প্রায় ১১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ওই নেতার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনায় মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যাঁদের মধ্যে ব্যাঙ্কের তৎকালীন এক শীর্ষকর্তা ছাড়াও পাপ্পু সিংহের আপ্ত সহায়কও রয়েছেন। বর্তমানে তাঁরা জেল হেফাজতে। তদন্তকারীদের কথায়, “ধৃতদের জেরা করে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি সংক্রান্ত অনেক তথ্যই মিলেছে। যার উপর নির্ভর করে এই ঘটনায় আরও কয়েক জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হতে পারে।”

আরও পড়ুন: প্রকাশ্য মঞ্চে ‘অপদার্থ’ বলে কৃষিমন্ত্রীকে ভর্ৎসনা কেষ্টর!

অন্য দিকে, মণীশ শুক্ল হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে টিটাগড় থানা পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করে বিজেপি। সেই মিছিলের পরে সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেন, “তৃণমূল প্রশাসন চক্রান্ত করে আমাকে এবং আমার সব লোকজনকে ফাঁসাতে চাইছে। পুলিশকে দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। তৃণমূলের কাছে যাঁরা মাথা নত করছেন না তাঁদের খুন করা হচ্ছে।”

তদন্তকারীদের এক সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ভাটপাড়া-নৈহাটি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানে পদে ছিলেন পাপ্পু সিংহের কাকা অর্জুন সিংহ। তৃণমূলে থাকাকালীন তিনি ভাটপাড়া পুরসভার প্রধানও ছিলেন। সেই সময় পুরসভার কাজের টেন্ডারকে কেন্দ্র করে ওই সমবায় ব্যাঙ্কের বহু কোটি টাকা ঋণের মাধ্যমে তছরুপ হয়। মোট ২৬টি ফাইলে সই হওয়ার পর ঋণের অনুমোদন মিলেছিল। যার পরিমাণ পুলিশ আগে জানিয়েছিল ২০ কোটি টাকা, কিন্তু পরে দেখা যায় তা ১১-১২ কোটি টাকার বেশি নয়।

এক তদন্তকারী বলেন, “পুরসভার কাজের জন্য এই ঋণ দেওয়া হলেও আমরা তদন্তে নেমে দেখেছি প্রায় সাড়ে এগারো কোটি টাকা পাপ্পু সিংহের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। সেখান থেকে তা অন্য জায়গায় পাচার করা হয়েছে।” পাপ্পুকে গ্রেফতার করার জন্য একাধিক বার সাংসদের বাড়ি ‘মজদুর ভবন’-এ গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু প্রতিবারই বাধা মুখে পড়তে হয়েছে তাদের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE