দু’দিনের ভারত বন্ধে কতটা প্রভাব পড়বে? ফাইল ছবি।
কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন ও কৃষক সংগঠনগুলো সোমবার ও মঙ্গলবার ভারত বন্ধ ডেকেছে। কেন্দ্রীয় নীতির প্রতিবাদে এই বন্ধের ডাক। কেন্দ্রীয় সরকারি নীতির বিরুদ্ধে ডাকা বন্ধে তারা যাতে বাধা না দেয়, তার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদনও জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির পশ্চিমবঙ্গ শাখা। যদিও বন্ধের দু’দিন অফিসে হাজিরা নিশ্চিত করতে শনিবারই নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়।
শ্রমিক সংগঠনগুলির কেন্দ্রীয় মঞ্চের বক্তব্য অনুযায়ী, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ক্রমশ কৃষক, শ্রমিক-সহ সাধারণ মানুষের উপর একের পর এক আক্রমণ নামিয়ে আনছে। সুদের হার হ্রাস করার পাশাপাশি পেট্রল-ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, রান্নার গ্যাসের আকাশছোঁয়া দামের বিরুদ্ধে বন্ধ ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের বেসরকারিকরণের পদক্ষেপেরও বিরুদ্ধে শ্রমিক সংগঠনগুলি।
দু’দিনের ভারত বন্ধ সফল হবে বলে আশাবাদী সিটু নেতৃত্ব। সিটু নেতা আসাদুল্লাহ গায়েন বলেন, ‘‘আমরা সাধারণ মানুষের স্বার্থে এই বন্ধ ডেকেছি। তাই আমরা আশা করি মানুষের ভাল সাড়া পাব।’’ সারা ভারত খেত মজুর ইউনিয়নের সম্পাদক তুষার ঘোষ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যে ভাবে গ্রামীণ অর্থনীতির উপর চাপ বাড়াচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস। সে জন্য শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ ভারতের বাসিন্দারাও এই বন্ধকে সমর্থন করছেন। আগামী দু’দিন ভারত অচল হবে।’’
বন্ধে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি ব্যাঙ্ক ও বিমা ক্ষেত্রের কর্মীরাও যোগ দেবেন বলে সংগঠকদের দাবি। শ্রমিক সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় মঞ্চের প্রেস বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে বন্ধে যোগ দেবেন কয়লা, ইস্পাত, তেল, টেলি যোগাযোগ, ডাক, আয়কর, ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy