জয়ের পর কালীঘাটের বাড়ির সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
‘‘নন্দীগ্রামে চক্রান্ত হয়েছিল। তবে ভবানীপুর তার জবাব দিল’’—ভোটে জিতে বললেন মমতা। জানালেন, চক্রান্ত করে নন্দীগ্রামে হারানো হয়েছিল। ভবানীপুর সেই চক্রান্তের জবাব দিয়েছে। তবে একই সঙ্গে মমতা জানালেন, নন্দীগ্রামের ঘটনা এখনও বিচারাধীন, তাই তা নিয়ে তিনি কথা বলতে চান না তবে আসলে বাংলা কি চায় ভবানীপুর তা স্পষ্ট করে দিয়েছে।
শান্তিপুর, গোসাবা, দিনহাটা, খড়দহ উপনির্বাচনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন মমতা। খড়দহে উপনির্বাচন প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শান্তিপুরে ব্রজকিশোর গোস্বামী। দিনহাটায় উদয়ন গুহ। গোসাবায় বাপ্পাদিত্য নস্কর এবং সুব্রত মণ্ডলের মধ্যে যে কোনও একজন প্রার্থী হবে বলে জানালেন মমতা।
মমতা বললেন আমি দু’ আঙুলে জয়ের চিহ্ন দেখাব না। তিন আঙুলে জয়ের চিহ্ন দেখাব। কারণ আমরা তিন জায়গায় জিতেছি।
সমস্ত ভাষার মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছেন। সব ক’টি ওয়ার্ডে আমি বেশি ভোট পেয়েছি। এই প্রথম এমন হল। ভবানীপুরের মানুষ গোটা দেশকে দেখিয়ে দিল বাংলা কাকে চায়।
জয়ী প্রার্থী মমতা ধন্যবাদ জানালেন ভবানীপুরের মানুষকে। বললেন, কোভিড এবং বৃষ্টি সামলে যে ভাবে ভোট দিয়েছেন মানুষ। তাতে আমি কৃতজ্ঞ।
ভবানীপুরে রেকর্ড ভোটে জেতার পর কালীঘাটের বাড়ির সামনে সাংবাদিক বৈঠক মমতার।
৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জয়ী মমতা। ২০১১ সালের ব্যবধান ছাপিয়ে জয়ী মমতা।
১৯তম রাউন্ডের পর ভবানীপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মমতার প্রাপ্ত ভোট ৭৬ হাজার ৪১৩। বিজেপির প্রিয়ঙ্কা পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৯৬টি ভোট। ৫২ হাজার ১৭ ভোটের ব্যবধানে জয় নিশ্চিত মমতার।
ভবানীপুরে মমতা কত ভোটে জিতবেন সে দিকেই নজর ছিল গোটা দেশের। মোট ২১ রাউন্ড ভোটগণনা হয়। প্রথম থেকেই প্রায় প্রতি রাউন্ডে ভোটের ব্যবধান বাড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরের দিকেই ভবানীপুরের মোট ভোটের ৭৭ শতাংশ ভোট পান মমতা। বিজেপি পায় ১৯ শতাংশ ভোট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy