তৃণমূলের সাংসদ শিশির অধিকারীর নাম রয়েছে অভিযুক্তের তালিকায়। নাম আছে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী এবং সিপিআইএমের মহম্মদ সেলিমেরও। ফাইল চিত্র।
সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগের তদন্ত হলে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়ে দিলেন বাংলার ১৭ জন রাজনৈতিক নেতা নেত্রী। এঁদের মধ্যে বিরোধী দলের ১৫ জন। বাকি দু’জন খাতায়-কলমে শাসক দলের নেতা হলেও দলের সঙ্গে সে ভাবে ‘যোগাযোগ’ নেই।
গত ১৮ অগস্ট এঁদের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তিবৃদ্ধির অভিযোগে একটি জনস্বার্থ মামলা রুজু হয় কলকাতা হাই কোর্টে। অভিযুক্তদের তালিকায় নাম ছিল, শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারী, মহম্মদ সেলিম, আব্দুল মান্নানের মতো ওজনদার নেতারও। মঙ্গলবার তাঁদের আইনজীবীরা আদালতকে জানিয়ে দিলেন, তাঁরা এই অভিযোগের তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তবে একই সঙ্গে আদালতের কাছে তাঁদের আর্জি, তদন্ত যেন কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে করানো হয়।
নেতাদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায় প্রথমে অবশ্য প্রকাশ্যে এসেছিল বাংলার ১৯ জন তৃণমূল নেতার নাম। ২০০৬ সালের ওই মামলাটি আদতে হয়েছিল বাংলার রাজনৈতিক নেতা- নেত্রীদের অস্বাভাবিক হারে সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ নিয়েই। কিন্তু সম্প্রতি শুধুই তৃণমূল নেতা এবং মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধির একটি তালিকা প্রকাশ করে তার নিষ্পত্তির আর্জি জানানো হয় হাই কোর্টে। যার পাল্টা তৃণমূলের তরফেও বিরোধী দলগুলির নেতা নেত্রীদের একটি তালিকা জমা দেওয়া হয়।
১৭ জনের নাম ছিল সেই তালিকায়। যার মধ্যে ছিলেন তৃণমূলেরই দুই সাংসদ শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর নাম। অন্যান্য দলের নেতাদের মধ্যে নাম ছিল বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, শমীক ভট্টাচার্যের, সিপিএমের মহম্মদ সেলিম, তন্ময় ভট্টাচার্য, কংগ্রেসের আব্দুল মান্নানেরও। মঙ্গলবার তাঁদেরই আইনজীবীরা আদালতকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত তদন্তে সহযোগিতা করতে রাজি। তবে একই সঙ্গে তাঁদের আর্জি অভিযোগের তদন্তে যেন কোন পক্ষপাতিত্ব না হয়। যেন প্রভাব খাটানো না হয়। কোনও নিরপেক্ষ সংস্থা যেন এ নিয়ে তদন্ত করানোর আর্জি জানান তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy