পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় ভিন্ রাজ্য থেকে পুলিশ আনতে চাইছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার নবান্নে রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ জানান, চার-পাঁচটি রাজ্যের সঙ্গে বাহিনীর বিষয়ে কথাবার্তা চলছে। সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, প্রতি ভোটকেন্দ্রে সশস্ত্র পুলিশ থাকবে। বুথ-ভিত্তিক নিরাপত্তা নিয়ে অবশ্য তিনি আলাদা করে কিছু বলেননি। এর মধ্যে এ বারই প্রথম ভোটকর্মীদের জন্য বিমার ব্যবস্থা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার ভোটের নতুন নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে আজ, শনিবার দুপুর ১টা থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করার কথা কমিশনের। সেখানে সব পক্ষের কাছ থেকে মতামত চাইবে কমিশন। তার পরে সেই মতামত তারা রাজ্য সরকারকে জানাতে পারে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তা নিয়ে ডিজি-র সাংবাদিক সম্মেলন অনেকের মতে অর্থবহ।
এ দিন সুরজিৎবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যে পুলিশের সংখ্যা বেড়েছে। আমরা কঠোর পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি। চার-পাঁচটি রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত বাহিনী আমরা পাব। প্রতি ভোটকেন্দ্র চত্বরে (প্রেমিসেস) সশস্ত্র পুলিশ থাকবে। আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট চাই।’’ তবে কত সংখ্যক বাহিনীর জন্য কোন কোন রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে অথবা কবে নাগাদ সেই বাহিনী এসে পৌঁছবে, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। আধিকারিকদের কারও কারও অনুমান, অতীতে যে সব রাজ্যের আর্জিতে সাড়া দিয়ে ভোটের সময় পশ্চিমবঙ্গ বাহিনী পাঠিয়েছিল, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হতে পারে। আবার কারও কারও ধারণা, তেলঙ্গানা, পঞ্জাব, ওডিশার মতো রাজ্যের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হতে পারে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হতে হয় না। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে সরাসরি কথা বললেই চলে।
লোকসভা ও বিধানসভার ক্ষেত্রে ভোটকর্মীদের বিমার ব্যবস্থা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পরিচালিত ভোটে তা ছিল না। আর এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে সেই বিমার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দু’-এক দিনের মধ্যেই সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy