প্রতীকী ছবি।
প্রচারের শেষ দিনে মারধরে জখম হয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির এক বিজেপি কর্মী। রবিবার সকালে কটকের হাসপাতালে মৃত্যু হল তাঁর। পঞ্চায়েত ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
মনু হাঁসদা (৫৬) নামে ওই দলীয় কর্মীর মৃত্যুতে সরব হয়েছে বিজেপি। দলের তরফে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তাদের দাবি, ভোটে ফায়দা তুলতে এই ঘটনায় রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। রবিবার রাতে এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত পুলিন রানা ও হরেন মাহাতো এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জগদীশ দাসের বক্তব্য, ‘‘শনিবার দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছিল। আমাদের কর্মী পুলিন ও হরেন সেখানে ছিলেন। তারপর ঠিক কী হয়েছে জানি না।’’ খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ‘‘বিজেপির একজন কর্মী মারা গিয়েছেন। দলের তরফে করা এফআইআরে নাম থাকা দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
কেশিয়াড়ির ঘৃতগ্রাম পঞ্চায়েতের বারিদা গ্রামের বাসিন্দা মনু। শনিবার প্রচারের শেষে বারিদায় বিজেপির মিছিল হয়। গোয়ালডাঙা থেকে বারিদা পর্যন্ত পুলিশি পাহারাতেই মিছিল হয়েছিল। বিজেপি কর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তখনই লাঠি ও লোহার রডের ঘায়ে মাথা ফাটে মনুর।
খড়্গপুর শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে বারিদা। একসময় সিপিএমের ঘাঁটি এই এলাকায় বিজেপির প্রভাব এখন বেড়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কেশিয়াড়ির বিজেপি প্রার্থী হন সিপিএমের প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক মহেশ্বর মুর্মুর ছেলে বিনোদবিহারী মুর্মু। তখন বারিদা গ্রামের বহু মানুষ বিজেপিতে যোগ দেন। স্থানীয় বিজেপি কর্মী রবীন্দ্র মুর্মু বলছিলেন, ‘‘সিপিএম থেকে বিজেপিতে আসি রাজ্যে পালাবদলের পরে। এতদিন গোলমাল হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি সন্ত্রাস বাড়ছে। তার জেরে এক কর্মীকেও হারালাম।’’
বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাসের অভিযোগ, “তৃণমূল ভয় পেয়ে ভোটের মুখে খুনের রাজনীতি করছে।’’ যদিও তৃণমূলের কেশিয়াড়ি ব্লক সহ-সভাপতি অশোক রাউতের দাবি, ‘‘শনিবার মিছিল শেষ করে ফেরার পথে তৃণমূলের পতাকা খুলে দিচ্ছিল বিজেপির লোকজন। তা নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। মনু সেখানে কী ভাবে এলেন জানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy