রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।—ছবি পিটিআই।
হাসপাতালগুলির টানা অচলাবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। কিন্তু সেই ফোনের জবাবে শুক্রবার নবান্ন থেকে পাল্টা ফোন যায়নি রাজভবনে। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আন্দোলনরত ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল।
কেশরীনাথের চিঠি এ দিন বিকেলেই নবান্নে পৌঁছয়। তার পরেও রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও বার্তালাপ হয়েছে, এমন দাবি অবশ্য দু’তরফের কেউই করেননি। সন্ধ্যায় ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে গিয়ে রাজ্যপাল আহত চিকিৎসক পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখে আসেন। তাঁর চিকিৎসার খবরাখবর নেন।
রাজভবন সূত্রের খবর, কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনের তরফে রাজভবনে গিয়ে বারবার দরবার করা হয়েছে। চিকিৎসকদের সংগঠনগুলির দাবি, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাঙ্গামার ঘটনায় ‘মূল’ দোষীদের গ্রেফতার করা হোক, নিরাপত্তা বাড়ানো হোক চিকিৎসকদের। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যাতে আলোচনায় বসেন, সেই দাবিও চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন রাজ্যপালের কাছে। এ দিন বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও অচলাবস্থা কাটাতে রাজভবনের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।
রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন ধরে পরিস্থিতির উপরে নজর রেখে রাজ্যপাল এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনটি বিষয়ে জোর দিয়েছেন রাজ্যপাল। ১) মূল দোষীদের গ্রেফতার করুক সরকার। ২) চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হোক। ৩) জেদাজেদি না-করে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ডেকে কথা বলুন মুখ্যমন্ত্রী।
চিঠি যাওয়ার আগেই অবশ্য এ দিন দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে নবান্নে ফোন করেছিলেন রাজ্যপাল। তাঁকে তখন জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী বাইরে আছেন। ফিরলে তাঁকে রাজ্যপালের ফোনের কথা জানানো হবে। এর পরে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে ফিরে এলেও রাত পর্যন্ত রাজ্যপালকে ফিরতি ফোন করেননি।
রাজভবনের দাবি, আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা বারবার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আক্রান্ত পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের কথা বলেছিলেন। তার পরেই রাজ্যপাল রাতে তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁকে দেখে সুস্থ হয়ে ওঠার কথা জানান রাজ্যপাল। পরিবহ তাঁকে দেখে হেসেছেন, হাত নেড়েছেন। রাজ্যপাল এর পরে পরিবহের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন চিকিৎসকদের কাছে। সেখান থেকে ফিরে যান রাজভবনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy