প্রতীকী ছবি।
হিংসাত্মক ও অর্থনৈতিক, দুই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রেই তালিকার উপরের দিকে আছে পশ্চিমবঙ্গ। হিংসাত্মক অপরাধে দেশের মধ্যে এ রাজ্য যদি তৃতীয় হয়, অর্থনৈতিক অপরাধের দিক থেকে বাংলা পঞ্চম স্থানে রয়েছে বলে জানাচ্ছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরো বা এনসিআরবি। তাদের প্রকাশিত সাম্প্রতিক রিপোর্ট (২০১৭) অনুযায়ী দেশে এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে বড় শহরগুলির মধ্যে কলকাতার অবস্থানও পঞ্চম।
এনসিআরবি-র তথ্য অনুযায়ী ২০১৭ সালে এ রাজ্যে ১০,০৫২টি অর্থনৈতিক অপরাধ নথিভুক্ত হয়েছিল। ২০১৬-য় সংখ্যাটা ছিল ৯৬৬৩। ২০১৫-য় ৯৭৩৭টি আর্থিক অপরাধ নথিভুক্ত হয়েছিল বাংলায়। অর্থনৈতিক অপরাধের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজস্থান। তার পরেই স্থানে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানার মতো রাজ্যের। দেশের বড় শহরগুলির মধ্যে আর্থিক অপরাধের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। তার পরে মুম্বই, জয়পুর এবং বেঙ্গালুরুর মতো শহর। পঞ্চম স্থানে থাকা কলকাতায় ২০১৭ সালে ২১৯৮টি অর্থনৈতিক অপরাধের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছিল। ২০১৬ সালে সংখ্যাটা ছিল ২১৫৫ এবং ২০১৫ সালে ২১৭১।
কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের (এমসিএ) আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বড়, মাঝারি বা ছোট অর্থ লগ্নি সংস্থাগুলি নিজেদের কাজকর্ম গুটিয়ে নিয়েছিল। তবে শুধু মন্ত্রকের কাছে ‘রেজিস্টার্ড’ বা নথিভুক্ত কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করে থাকে এমসিএ। ফলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে জেলা স্তরে ছোট পরিসরে বিভিন্ন অর্থ লগ্নি সংস্থা এখনও কাজকর্ম চালাচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন মন্ত্রকের আধিকারিকেরা। নজরের আড়ালে ছোট লগ্নি সংস্থা এখনও জেলাগুলিতে সক্রিয় কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। এমসিএ-র আধিকারিকদের বক্তব্য, তুলনামূলক ভাবে শহরাঞ্চলে প্রশাসনিক নজরদারি অনেক বেশি। আমজনতার সচেতনতার হারও তুলনায় কিছুটা বেশি। ফলে শহরাঞ্চলে নজরের আড়ালে এই ধরনের কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন। সেই সঙ্গে ওই আধিকারিকেরা জানান, শুধু অর্থ লগ্নি সংস্থার কাজকর্ম নয়, অর্থের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যে-কোনও অপরাধই এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy