—ফাইল চিত্র।
পি এম কিসান প্রকল্পে যোগ দেওয়ার বার্তা আগেই দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তৃতীয় বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গঠনের পরে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের টাকা পৌঁছনোর যাবতীয় প্রক্রিয়া সেরে রাখল প্রশাসন। সম্প্রতি ওই প্রকল্পের জন্য এ রাজ্যের নোডাল অফিসার ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে প্রস্তুতির অনুরোধ জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া-কে রাজ্যে প্রকল্পের নোডাল অফিসার জানিয়েছেন, অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছলেই তা যেন তালিকাভুক্ত উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। সরকারের থেকে আর কোনও অনুমতির অপেক্ষা করতে হবে না। আপাতত এই নির্দেশ ছ’মাসের জন্য কার্যকর থাকবে। নোডাল অফিসারের পরিবর্তন হলে তা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের শেষের দিকেই মমতা জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের প্রকল্পটি গ্রহণে আপত্তি নেই। কেন্দ্রের উপভোক্তা তালিকাও যাচাইয়ের কাজ করেছে রাজ্য। কয়েক দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কৃষকদের ১৮ হাজার টাকা ভাতার ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এখনও কোনও কৃষক তা পাননি। তাই মমতার অনুরোধ ছিল যত দ্রুত সম্ভব পি এম কিসানের আওতায় থাকা কৃষক-উপভোক্তাদের টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হোক।
কেন পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প স্থান পায়নি, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে যথেষ্ট কটাক্ষও করে কেন্দ্রের শাসকদল। যদিও রাজ্যের যুক্তি, এ রাজ্যে কৃষকবন্ধু প্রকল্প কেন্দ্রের প্রকল্পের থেকে অনেক এগিয়ে। কারণ, রাজ্যের প্রকল্পের অধীনে এখনও পর্যন্ত ৫৭ লক্ষ ৬৭ হাজার কৃষকের জন্য ১ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এমনকি, প্রকল্পের অধীনে কোনও কৃষকের মৃত্যু হলেও সংশ্লিষ্ট পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে এই খাতে প্রায় ২৪২ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি ও পদ্ধতিগত কাজ এগিয়ে রেখে কেন্দ্রের উপরেই কার্যত চাপ বাড়াল রাজ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy