বারুইপুর স্টেশনে ফুট ওভারব্রিজ। —ফাইল চিত্র।
বারুইপুর স্টেশনে ফুট ওভারব্রিজের চাঙড় মাথায় পড়ে শুক্রবার মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার। সেই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানোর মামলার দাবি করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ তথা বারুইপুর (পশ্চিম)-র বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার দুপুরে ওই দুর্ঘটনায় মৃতা অসীমা প্রামাণিকের মদারহাটের নায়েবপাড়ার বাড়িতে আসেন বিমানবাবু। তিনি বলেন, ‘‘ওই পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও চাকরি ব্যবস্থা করতে হবে। রেল ওই জীর্ণ ফুট ওভারব্রিজটির কী ভাবে ‘ফিট সার্টিফিকেট’ দিল তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।’’ পরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘অনিচ্ছাকৃত মৃত্যুর মামলা হলেও তা লঘু ধারায় দায়ের করা হয়েছে। কয়েক জনের গাফিলতির কারণে একটি জীবন চলে গিয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত বাস্তুকারদের গ্রেফতার করা হোক।’’
রেল দফতর সূত্রে খবর, ওই ঘটনায় দু’জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’ বারুইপুর জিআরপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অসীমার মেয়ে মৌসুমীর অভিযোগের ভিত্তিতে অনিচ্ছাকৃত মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্তও শুরু হয়েছে। ওই ব্রিজের ‘ফিট সার্টিফিকেট’ কারা দিয়েছিলেন তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ জিআরপি-র তদন্তকারীদের কথায়, ব্রিজের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাস্তুকারদের খুব তাড়াতাড়ি জেরা করা হবে। এসআরপি শিয়ালদহ অশেষ বিশ্বাস বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। কিছু বলা যাবে না।’’
তদন্তকারীদের কথায়, দীর্ঘদিন ওই ব্রিজের লোহার বিমে রং পড়েনি, সিমেন্টের চাঙড় আলগা হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, সিঁড়িতে স্বচ্ছ ভারত লিখে রেখেই কাজ সারা হয়েছিল। ট্রেন গেলেই ব্রিজটি কাঁপত বলে জানাচ্ছেন যাত্রীরা। অভিযোগ পেয়েও রেলের হেলদোল ছিল না বলে দাবি। দুর্ঘটনার আগেই ওই ব্রিজ মেরামত করতে বারুইপুর থানার পুলিশ রেল দফতরে চিঠি দেয় বলে দাবি করা হয়েছে। রেল দফতরের কর্তাদের পাল্টা দাবি, জিআরপি ও বারুইপুর থানার তরফ থেকে কোনও চিঠিই রেল দফতরে জমা পড়েনি। ওই ব্রিজ নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত হচ্ছে, এর বেশি কিছু বলা যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy