অন্ডাল বিমাননগরীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার।
এ বার আর সবুজ চেয়ার নয়, মাটিতে বসেই দলনেত্রীর ভাষণ শুনবেন কর্মীরা। তৃণমূল নেতাদের দাবি, আজ, শুক্রবার চার জেলার কর্মিসভায় ভিড় এতটাই হবে, যে চেয়ার দিলে ঠাঁই দেওয়া যাবে না সবাইকে।
এর আগে আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সম্মেলন থেকে শুরু করে দলীয় কর্মীদের শিক্ষণ শিবির সবেতেই তৃণমূলের কর্মীরা বসেছেন চেয়ারে। তবে এ বার ইস্পাত নগরীর রাজীব গাঁধি ময়দানের বিশাল প্যান্ডেলের জমিই ভরসা তাঁদের। দুর্গাপুর পুরসভার বোরো কমিটির চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলর মৃগেন পাল বলেন, “চেয়ারের ব্যবস্থা থাকলে বেশি জায়গা লাগে। মাটিতে বসলে অনেক বেশি কর্মী প্যান্ডেলে জায়গা পাবেন।”
শুক্রবার প্রশাসনিক ভাবে চার জেলার কর্মীদের সম্মেলন হলেও সাংগঠনিক ভাবে দলের পাঁচ জেলার কর্মীদের নিয়ে বৈঠক হচ্ছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া থেকে ১০ হাজার, বীরভূম ও পুরুলিয়া থেকে ৬ হাজার করে এবং বর্ধমান গ্রামীণ এলাকা থেকে ৮ হাজার প্রতিনিধির তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। প্রধান বক্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বৈঠক যেখানে হচ্ছে সেই বর্ধমান শিল্পাঞ্চল থেকে ঠিক কত কর্মী বৈঠকে যোগ দেবেন তা শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত করতে পারেননি দলের নেতারা। শিল্পাঞ্চলের এক তৃণমূল নেতা বলেন, “অনেকের হাতেই কার্ড পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু তার পরেও বাকিরা স্থানীয় নেতাদের কাছে বারবার আবেদন করছেন কার্ড চেয়ে। তাই চূড়ান্ত সংখ্যা বলা মুশকিল।” তৃণমূলের বর্ধমান জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায় বলেন, “দলনেত্রীর কাছ থেকে আগামীর দিশা পেতে লক্ষাধিক নেতা-কর্মীর সমাগম হবে বলে মনে হচ্ছে।”
প্রস্তুতি শেষ। আজ, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
কর্মিসভা দুর্গাপুরের রাজীব গাঁধী ময়দানে। ছবি: বিশ্বনাথ মশান।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, ৮১ ফুট লম্বা, ৫০ ফুট চওড়া মূল মঞ্চকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সামনের সারিতে বসবেন দলনেত্রী-সহ দলের বাকি নেতারা। আর পিছনের সারিতে থাকবেন দলের জেলা সভাপতি, জেলা সভাধিপতি, বিধায়ক সহ অন্যান্যরা। সংসদের অধিবেশন চলায় সাংসদরা সম্ভবত কেউ থাকবেন না বলে জানিয়েছেন দলের স্থানীয় নেতারা। সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিদের সাহায্যের জন্য ময়দানে পাঁচ সাংগঠনিক জেলার পাঁচটি পৃথক সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। থাকছে দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থাও। মেনু- ভাত, ডাল, তরকারি ও ডিমের ঝোল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে পুলিশ কমিশনার-সহ কমিশনারেটের অন্যান্য আধিকারিকেরা মাঠ ঘুরে যাবতীয় প্রস্তুতি পরিদর্শন করে গিয়েছেন। শুক্রবারের তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ দিন বিকালে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখতে রাজীব গাঁধি ময়দানে আসেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেখানে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনে বহু চড়াই-উতরাই এসেছে। সে সব তিনি অতিক্রম করে এসেছেন। এ বারও তিনি আন্দোলনের মাধ্যমে সব অতিক্রম করবেন।” তাঁর অভিযোগ, “সিবিআই আগে কংগ্রেসের রাজনৈতিক হাতিয়ার ছিল, এখন বিজেপি’র।” তিনি জানান, জেলার কর্মী বৈঠকগুলিতে হাজার হাজার ছাত্র-যুব যোগ দিচ্ছেন। দরকার হলে পথে নেমে অপপ্রচার ও কুত্সার জবাব দেবেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy