রাস্তায় জমা জলে মাছ ধরার চেষ্টা। কালনায় তোলা নিজস্ব চিত্র।
এক রাতের বৃষ্টিতেই ভেসে গেল কালনা শহরের ইতিউতি।
সোমবার সারা রাত দফায় দফায় বৃষ্টি হয় কালনা মহকুমার বিভিন্ন এলাকায়। মঙ্গলবার ভোর হওয়ার পর থেকেই দেখা যায় শহরের বহু ওয়ার্ডের কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর জল। এ দিন সবথেকে বেশি সমস্যা তৈরি হয় শহরের প্রাণকেন্দ্র এসটিকেকে রোডে। জল জমে থাকায় খারাপ হয়ে যায় বেশ কয়েকটি গাড়ি। স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস, হাসপাতালে পৌঁছাতে চুড়ান্ত নাকাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কালনা শহরের ভিতরে আদালতমুখী রাস্তা, মেডিসিন কমপ্লেস, কামারশালা গলি, খাদ্য দফতরমুখী রাস্তায় জমা জল সরাতে পুরসভা পাম্প মেশিন ব্যবহার করে। মেশিনের সাহায্য জমা জল ফেলা হয় কাছাকাছি একটি পুকুরে। জমা জলে কচিকাঁচাদের মাছ ধরতে দেখা যায়। পুরসভার তরফে কয়েকটি জায়গায় নিকাশি নালার আর্বজনা পরিষ্কার করে জল বের করার পথ করা হয়। কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান তথা কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডু বলেন, “বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন খবর পাই, খাদ্য দফতরের কাছে প্রচুর জল জমে গিয়েছে। এরপরেই জল বের করার জন্য পাম্প মেশিন ব্যবহার করতে বলা হয়।” তিনি জানান, সম্প্রতি শহরের নিকাশি সমস্যা নিয়ে বর্ধমান-পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উপস্থিতিতে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে।
কিন্তু অল্প বৃষ্টিতেই কেন বার বার জল জমে যায় কালনায়? স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের বেশিরভাগ পুকুরই বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিকাশির অবস্থাও বেহাল। শহরের বিভিন্ন নালা বুঝে রয়েছে আর্বজনায়। সমস্যার কথা স্বীকার করে কালনার মহকুমা শাসক সব্যসাচী ঘোষ বলেন, “শহরের প্লাস্টিকের অতিরিক্ত ব্যবহার একটা বড় সমস্যা। সেই কারণে বেশিরভাগ নালাই বুঝে গিয়েছে। ১০ জুলাইয়ের পরে এই নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হবে।” মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে বৈদ্যপুর মোড় থেকে বেহুলা নদী পর্যন্ত নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির জন্য প্রথমে একটি ম্যাপ তৈরি করা হবে। এ ব্যাপারে কালনা-১ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy