কয়েক সপ্তাহ ধরেই মহকুমা জুড়ে স্ট্যাম্প পেপার ও কোর্ট ফি না মেলার অভিযোগ উঠছে। ফলে প্রতিদিন কালনা আদালতে নানা কাজে আসা মানুষজন থেকে আইনজীবী, বিপাকে পড়ছেন সকলেই।
সাধারণত, স্ট্যাম্প পেপার এবং কোর্ট ফি মেলে সরকারি নির্ধারিত জায়গা থেকে। কালনা রেজিস্ট্রি অফিস, আদালত, পূর্বস্থলী এবং মন্তেশরে এই দোকানগুলি রয়েছে। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এফিডেবিট, জমি, বাড়ি কেনা বেচা-সহ নানা প্রয়োজনে স্ট্যাম্প পেপার প্রয়োজন হয়। প্রতিদিনই হাজার হাজার টাকার সরকারি স্ট্যাম্প পেপার বিক্রি হয় বলেও তাঁদের দাবি। এ ছাড়াও আদালতে বিভিন্ন পিটিশন, সার্টিফায়েড কপি তোলা-সহ অজস্র প্রয়োজনে কোর্ট ফি লাগে। মহকুমার ভেন্ডারগুলি ট্রেজারি অফিস থেকে ওই স্ট্যাম্প এবং কোর্ট ফি পায়। আইনজীবীদের দাবি, সপ্তাহ খানেক আগে থেকে ওই সঙ্কট শুরু হয়। প্রথমে ১০, ২০ এবং ৫০ টাকার স্ট্যাম্প শেষ হয়ে যায়। বুধবার থেকে ১০০ টাকার স্ট্যাম্পও মিলছে না বলে তাঁদের দাবি। বর্তমানে ওই নির্দিষ্ট দোকানগুলিতে শুধু ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প মিলছে। একই ভাবে জোগান না থাকায় ৫, ১০, ২০ টাকার কোর্ট ফি-ও শেষ হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দু’একটি দোকানে কিছু কোর্ট ফি মিলেছে। এ দিন কালনা আদালত চত্বরে সমুদ্রগড়ের বাসিন্দা সুমিত বসাক বলেন, “দু’দিন ধরে একটি এফিডেবিট করার জন্য ঘুরছি। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, স্ট্যাম্প পেপার না থাকায় করা যাবে না।” সুমিতবাবুর দাবি, প্রথমে অনেকেই ১০, ২০ টাকার স্ট্যাম্প না পেয়ে ৫০, ১০০ টাকায় কাজ চালাচ্ছিলেন। এখন তো তাও মিলছে না। কেন সমস্যা জানতে চাইলে সন্ধ্যায় মহকুমাশাসক সব্যসাচী ঘোষ বলেন, “সমস্যার কথা শুনেছি। চেষ্টা চলছে সমস্যা সমাধানের।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy