বেশি নম্বর থাকা সত্ত্বেও স্নাতকোত্তরে ভর্তির তালিকায় নাম না থাকা নিয়ে বিভাগীয় সচিবের কাছে অভিযোগ জানালেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। শেখ রেজাউল নামে ইতিহাস বিভাগের ওই ছাত্রের অভিযোগ, ভর্তির প্রথম তালিকায় তাঁর নাম ছিল। অথচ দিন দশেক পরে প্রকাশিত নতুন তালিকায় সেই ক্রমিক নম্বরে অন্য নাম রয়েছে। এরপরেই কলা বিভাগের বিভাগীয় সচিবের কাছে অভিযোগ করেন রাজ কলেজ থেকে স্নাতক ওই ছাত্র।
কিন্তু রেজাউলের চেয়ে কম নম্বর পাওয়া ছাত্রের নাম ওই তালিকায় ঢুকল কীভাবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার বলেন, “কলা বিভাগের বিভাগীয় সচীব ওই তালিকা তৈরি করেছেন। তাই আমার পক্ষে এ ব্যাপারে কিছু বলা সম্ভব নয়। যা বলার উনিই বলতে পারবেন।” আর কলা বিভাগের বিভাগীয় সচিবের দায়িত্বে থাকা শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদারের জবাব, “যে তালিকাটা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এসেছে সেটাকেই আমাদের বলবৎ করতে হবে। তবে এই নাম বাদ যাওয়া নিয়ে শেখ রেজাউল আমার কাছে একটি অভিযোগ করেছেন। আমি সেই অভিযোগ উপার্চার্যের কাছ পাঠিয়ে দিয়েছি। এর চেয়ে বেশি কিছু সম্ভব নয়। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ এলে রেজাউলকে ভর্তি করা যেতে পারে।”
রেজাউল জানান, ভর্তি সংক্রান্ত প্রথম তালিকা প্রকাশিত হয় সেপ্টেম্বরের ২৬ তারিখ। তার চার দিন পরে অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর আচমকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার ঘোষণা হয়। এর দিন দশেক বাদে, ১৪ অক্টোবর ভর্তির নতুন একটি তালিকা প্রকাশিত হয়। সেখানে আগের তালিকার কিছু নাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেশ কিছু নতুন নাম ঢোকে এবং ক্রমিক নম্বরে নীচের দিকে ছিল এমন অনেক নাম উপরে উঠে আসে বলেও তাঁর দাবি। রেজাউলের অভিযোগ, তার জায়গায় নতুন যে ছাত্রের নাম প্রকাশিত হয়েছে, তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় পেয়েছেন ৪৩.৫ নম্বর। তালিকায় ৩৮ নম্বরে নাম রয়েছে তাঁর। অথচ প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৪৪.৫ পাওয়া রেজাউলের নাম তালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ পড়ে গিয়েছে।
টিএমসিপি নেতা সারওয়ার্দি হাসানেরও অভিযোগ, “শুধু একজন নন। পুরনো তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজনের নাম বাদ পড়ে গিয়েছে নতুন তালিকায়। নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্দিরা গাঁধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে পরীক্ষায় বসেছেন। তাঁদের পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে ওঁদের কাউকে ভর্তি করানো হবে না বলে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। উপাচার্যের সঙ্গে বারবার দেখা করার চেষ্টা করেছি। বলার চেষ্টা করেছি, যে হচ্ছে তা ন্যায্য নয়। তিনি কোনও কথা শুনছেন না।” তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের সভাপতি খোদকার আমিরুল ইসলাম বলেন, “যে তালিকা নিয়ে এত কথা হচ্ছে, তা আসলে খসড়া তালিকা। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে পরে। তাই এ ব্যপারে আমাদের দিক থেকে কিছু করার নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy