যাত্রা, বাউল গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আসানসোল খনি-শিল্পাঞ্চলে জমে উঠেছে ধর্মরাজ পুজো।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আসানসোলের ডামরা ও জামুড়িয়ার চিচুরিয়া গ্রামের ধর্মরাজ পুজো শিল্পাঞ্চলে জনপ্রিয় উৎসব। ডামরায় পুজোর বয়স তিনশো বছরেরও বেশি। এই পুজোকে কেন্দ্র করে নতুন পোশাকে সেজে ওঠে ডামরা, কোটালডিহি ও ঘুষিকপাশাপাশি তিনটি গ্রাম। সারা বছর যে যেখানেই থাকুন না কেন, গ্রামে ফিরে আসেন ধর্মরাজ উৎসবে। চার দিনের পুজোয় প্রথম তিন দিন স্থানীয় অপেশাদার শিল্পীদের যাত্রা মঞ্চস্থ হবে। শেষ দিন, ১৭ তারিখ কলকাতার যাত্রা। ডামরার পরিমল গাঁধী, ঘুষিকের স্বাধীন যশ, কোটালডিহির বাসিন্দা তথা পুজো কমিটির সম্পাদক শক্তিপদ রায়েরা জানান, বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন শুরু হয়েছে। তিনটি গ্রামের মানুষের কাছে এটি কার্যত মিলনমেলা। ধর্মরাজ উৎসবকে কেন্দ্র করে সব বাড়িতেই নতুন পোশাক কেনার হিড়িক পড়ে যায়। পুজো পরিচলনা করে তিনটি গ্রামের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ধর্মরাজ পুজো কমিটি।
জামুরিয়ার চিচুরিয়া গ্রামের পুজো শুরু হয়েছিল শুড়ি ও ধীবর পরিবারের উদ্যোগে। এখনো কৌলিন্য মেনে পুজোর আয়োজন ওই দুই সেবায়েত বাড়ির সদস্যেরা করলেও পুজো আদতে সর্বজনীন রূপ নিয়েছে। সাত দিনের মেলা বসে। পুজো পরিচালনা করে চিচুরিয়া গ্রাম ষোলআনা কমিটি। পুজো শুরুর দু’দিন পর থেকে এখানে তিন দিনের যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দু’দিন এলাকার অপেশাদার অভিনেতারা ও শেষ দিন কলকাতার যাত্রা অপেরার যাত্রা পরিবেশিত হয়। গ্রামের বাসিন্দা গৌতম চক্রবর্তী, বিশ্বনাথ সামুইরা জানান, বার্ষিক মহোৎসবের চেহারা নিয়েছে ধর্মরাজ পুজো।
হিরাপুর ধর্মরাজ কমিটির তিন দিনের পুজো শেষ হল বৃহস্পতিবার। দ্বিতীয় দিন বাউল গান ও শেষ দিন বিচিত্রানুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এই পুজো কমিটির সভাপতি লক্ষণ ঠাকুর জানান, প্রায় আড়াইশো বছরের পুরনো তাঁদের এই পুজো। তিনি জানান, হিরাপুর ঠাকুরবাড়ির পূর্বপুরুষ নবদ্বীপচাঁদ ধর্মরাজ পুজো শুরু করেছিলেন। জনশ্রুতি, তিনি সালানপুরে ধর্মরাজ পুজো দেখে আকৃষ্ট হয়ে ফিরে এসে হিরাপুরে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন পুজো শুরু করেছিলেন। অন্ডালের দক্ষিণখণ্ড গ্রামে অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে চলে আসা পুজো উপলক্ষে মেলা ও যাত্রা ন’দিনের বার্ষিক উৎসবে পরিণত। শেষ তিন দিন ১৮, ১৯, ২০ তারিখ যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy