পুরভোটের দিন এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে ওয়ার্ড বিন্যাস ও সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। এর আগে প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে কালনা পুরসভা নির্বাচনে জোট গড়েই লড়াই করেছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। কিন্তু এ বার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই সম্ভবনা বেশ কম। একই সঙ্গে সারা রাজ্যের সঙ্গে কালনাতেও বিজেপির শক্তি বেড়েছে। ফলে এ বার যে লড়াই সহজ হবে না সেটা একান্তে মেনে নিচ্ছে দীর্ঘদিনের দুই জোট শরিক।
কাটোয়া ছাড়াও বর্ধমান জেলার যে কয়েকটি এলাকায় এখনও কংগ্রেসের সংগঠন রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল কালনা। লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে তেমন প্রচার না হওয়া সত্ত্বেও এই শহর থেকে ৫ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিল কংগ্রেস। পুরসভা নির্বাচনে সেই ভোট আরও বাড়বে বলেই আশা শহর কংগ্রেসের। কালনা পুরসভায় মোট ১৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। তারমধ্যে ২০১০ সালের নির্বাচনে তৃণমূল ৭টি ও কংগ্রেস ৫টি ওয়ার্ডে জিতেছিল। ভোটে জিতে তৃণমূল থেকে পুরপ্রধান ও কংগ্রেস থেকে উপপুরপ্রধান নির্বাচিত হন। এর আগে কালনা পুরসভা নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূল ও কংগ্রেস নেতারা আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনায় বসতেন। তবে এ বার অবশ্য পরিস্থিতি ভিন্ন। দু’দলই জানিয়েছে, এ বার জোট হওয়ার সম্ভবনা নেই বললেই চলে।
সম্প্রতি পুরসভা নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে শহরের কংগ্রেস নেতারা দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেন। সেখানে কর্মীদের পুরসভা নির্বাচনের জন্য একলা লড়ার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কংগ্রেস নেতা লক্ষণ রায় জানান, এ বার জোট নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রস্তাব আসেনি। আমরা ওয়ার্ড কমিটিগুলিকে প্রার্থী ঠিক করতে বলে দিয়েছি। পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার আনন্দ দত্তের দাবি, “কালনা শহরে কংগ্রেসের শক্তি রয়েছে। গত বার ৬টি আসনে লড়াই করে ৫টিতেই আমরা জিতেছিলাম। এ বারও ভাল ফল করব।”
তবে কংগ্রেসের দাবিকে পাত্তা দিতে রাজি নয় তৃণমূল। শহরের তৃণমূল নেতা গোরা পাঠকের দাবি, জোট ছাড়াই কালনা পুরসভা দখল করবে তৃণমূল। কালনার তৃণমূল বিধায়ক তথা পুরপ্রধান বিশ্বজিৎ কুণ্ডু বলেন, “জোট গড়ে লড়াই করার ব্যাপারে উচ্চ নেতৃত্বের কোনও নির্দেশ নেই। তাই দল ১৮টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছে।” তবে আড়ালে তৃণমূল ও কংগ্রেসের অনেক নেতাই মানছেন, জোট ছাড়া কালনা পুরসভা নির্বাচনে জেতা বেশ কঠিন। তাই নির্বাচনের আগে না হলেও নির্বাচন পরবর্তী আসন সম্ভবনার কথা দু’দলের কেউই উড়িয়ে দিতে পারছেন না।
অন্য দিকে তৃণমূল-কংগ্রেস জোট পরিচালিত পুরসভা কাজ করেনি। এই স্লোগানকে সামনে রেখেই এ বার ভোটে নামতে চলেছে সিপিএম ও বিজেপি। সিপিএমের কালনা জোনাল কমিটির সদস্য স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল ও কংগ্রেস জোট করবে কী না সেই নিয়ে আমরা ভাবছিই না। আমরা নিজেদের শক্তিতে লড়ব।” বিজেপির বর্ধমান (পূর্ব) জেলা সভাপতি রাজীব ভৌমিকের দাবি, “আমরা অন্য কোনও দলকে মাথা না ঘামিয়ে নিজেদের প্রার্থী তালিকা তৈরি করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy