যুব সমাজের একাংশের উচ্ছৃঙ্খলতা, মানবিকতার অভাব নিয়ে খেদ মাঝে-মধ্যেই শোনা যায় প্রবীণদের আড্ডায়। তার কারণের সন্ধানে এ বার দুর্গাপুজোর মণ্ডপকে বেছে নিয়েছে চিত্তরঞ্জন চারের পল্লি। এই সমাজে বিবেকানন্দের বাণীর প্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরাই থিম হিসেবে বেছে নিয়েছে তারা। চেন্নাইয়ের বিবেকানন্দ কালচারাল সেন্টারের আদল দেখা যাবে মণ্ডপে। থাকবে বিবেকানন্দের নানা বয়সের ছবি, বাণী। থাকবে পুদুচেরির ধ্যানঘরের আদলে তৈরি একটি ঘরও।
বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে মাথাব্যথার অন্ত নেই বিজ্ঞানীদের। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে কত জন এই বিষয়টি বোঝেন, সে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে চিত্তরঞ্জনের সিমজুড়ি সর্বজনীন পুজো কমিটির। তাই এ বার তাদের থিম এই উষ্ণায়ন। আস্ত পৃথিবীর আদলে গড়া হয়েছে মণ্ডপ। একেবারে চূড়ায় থাকছে একটি হিমবাহ। মণ্ডপের সামনে থাকবে অগ্নিশিখা। উত্তাপে হিমবাহ গলে কী ভাবে পৃথিবীতে বেড়ে যাচ্ছে জলস্তর, তা ফুটে উঠবে মণ্ডপে। এই পরিস্থিতি থেকে কী ভাবে রক্ষা মিলতে পারে, সেই উপায় ব্যাখ্যার ব্যবস্থাও থাকছে মণ্ডপে।
কল-কারখানা মানেই দূষণের আশঙ্কা। শিল্পাঞ্চলে দূষণই সবচেয়ে বড় সমস্যা। কিন্তু, অর্থনীতির স্বার্থে শিল্পেরও প্রয়োজন রয়েছে। সমাধানের পথ খোঁজা হয়েছে চিত্তরঞ্জনের ফতেপুর সর্বজনীন পুজো প্রাঙ্গণে। উদ্যোক্তারা এ বার পরিবেশ দূষণ ও তার হাত থেকে রক্ষার উপায়কে থিম হিসেবে হাতিয়ার করেছেন। তাঁদের মণ্ডপ হচ্ছে ডুবন্ত টাইটানিক জাহাজের আদলে। দূষণের নানা কারণ ও তা রোধের বিভিন্ন উপায় তুলে ধরা হচ্ছে মণ্ডপে। চিত্তরঞ্জন ছয়ের পল্লি আবার লোকশিল্পের প্রসারকে থিম করেছে। করোগেটেড টিনের পাত দিয়ে তৈরি মণ্ডপে তুলে ধরা হচ্ছে লোকোশিল্পের নানা নিদর্শন।
এ বার পুজোয় তাই উষ্ণায়ন থেকে সামাজিক অবক্ষয়সব কিছু থেকে রেহাইয়ের পথই খুঁজে পেতে পারেন চিত্তরঞ্জনের বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy