লগ্নি সংস্থার কর্তার বাড়িতে আমানতকারীদের ভিড়।
আরও এক লগ্নি সংস্থার ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন আমানতকারীরা। দুর্গাপুরে বুধবার সকালে ওই ডিরেক্টর ও তাঁর বাবাকে বাড়িতে ঘেরাও করেন আমানতকারীরা। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আমানতকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই লগ্নি সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর শুভ্রজিৎ বণিকের মামরা-বিধানপল্লি এলাকার বাড়িতে যান জনা ৫০ আমানতকারী। তাঁরা দাবি করেন, এর আগে একাধিক বার বাড়িতে গিয়ে ওই লগ্নি সংস্থার কর্তার দেখা পাননি। কিন্তু এ দিন বাড়ির বাইরে শুভ্রজিৎবাবুর গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাঁরা নিশ্চিত হন, তিনি বাড়িতেই রয়েছেন। এর পরেই বাড়ির ভিতরে ঢুকে তাঁরা শুভ্রজিৎবাবুকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। আমানতকারীরা তাঁদের টাকা ফেরতের দাবিও জানাতে থাকেন। ছেলের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসেন শুভ্রজিৎবাবুর বাবা বাসুদেববাবু। আমানতকারীরা তাঁকেও ঘিরে ধরেন। তাঁদের বক্তব্য, শুভ্রজিৎবাবুর মতোই তাঁর বাবা বাসুদেববাবুও সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর। বাসুদেববাবু অবশ্য নিজেকে সংস্থার এজেন্ট বলে দাবি করেন। খবর পেয়ে নিউটাউনশিপ থানা থেকে পুলিশ গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। অরিজিৎ পাল নামে এক আমানতকারী অভিযোগ করেন, ওই সংস্থায় প্রায় ৬ লক্ষ টাকা লগ্নি করেছেন। গত অগস্ট থেকে টাকা ফেরত দেওয়া বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, “টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। কর্তারা পলাতক। এ দিন তাই হাতের কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছি।”
আটক কর্তা।
সোমবারই আর এক অর্থলগ্নি সংস্থা এমপিএসের কর্ণধার প্রমথনাথ মান্না, পাঁচ ডিরেক্টর এবং পরিচালন মণ্ডলীর ন’জন সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন দুর্গাপুরের বেশ কিছু আমানতকারী। তার আগে আরও বেশ কয়েকটি লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে দুর্গাপুরে। একাধিক সংস্থার কর্তা-ব্যক্তি ও এজেন্টদের পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। অনেকেই জামিনে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন। বুধবার অভিযোগ দায়ের হওয়া সংস্থাটির সিটি সেন্টারে স্থানীয় কার্যালয় রয়েছে। সংস্থার প্রধান কার্যালয় কলকাতার শেক্সপিয়র সরণিতে। আমানতকারীদের দাবি, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের কাজকর্ম দেখার দায়িত্বে ছিলেন শুভ্রজিৎবাবু ও তাঁর বাবা বাসুদেববাবু। এখানে আমানতকারীর সংখ্যা কয়েকশো। দুর্গাপুর কার্যালয় থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা তুলেছে সংস্থাটি। সময়ে টাকা ফেরত না পেয়ে তাঁরা এজেন্টদের ধরেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গা-ঢাকা দেন এজেন্টরা। এর পরে তাঁরা ডিরেক্টর শুভ্রজিৎবাবুর খোঁজে একাধিক বার তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন। কিন্তু দেখা পাননি। বাণীব্রত চক্রবর্তী নামে এক আমানতকারী বলেন, “আমরা পুলিশের কাছে প্রতারণার অভিযোগ করেছি।” বাসুদেববাবু অবশ্য বলেন, “আমার ছেলেকে সংস্থা ডিরেক্টর করেছে। আমি এজেন্ট। অথচ, আমানতকারীরা বলছেন, আমিও নাকি ডিরেক্টর! কী হয়েছে আমি ঠিক বলতে পারব না।”
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy