Advertisement
০৭ নভেম্বর ২০২৪
Police Case

যৌন নিগ্রহের পরে মহিলাকে কাটারি নিয়ে ধাওয়া যুবকের

কয়েক জন গ্রামবাসীর দাবি, বাড়ি থেকে বেরিয়ে মহিলা চিৎকার করতে করতে দৌড়চ্ছিলেন। হাতে কাটারি নিয়ে তাঁকে ধাওয়া করছিল অভিযুক্ত।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মঙ্গলকোট খণ্ডঘোষ শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ০৪:৫৭
Share: Save:

এক মহিলাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে রফিকুল শেখ নামে মঙ্গলকোটের কুরুম্বা গ্রামের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার কাটোয়া আদালত ধৃতকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার দুপুরে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চল্লিশের ওই মহিলার স্বামী লটারির টিকিট বিক্রি করেন। ব্যবসার প্রয়োজনে অধিকাংশ সময়ই তাঁকে বাইরে থাকতে হয়। তাঁদের এক মাত্র ছেলেও বাইরে কর্মরত। পেশায় রাজমিস্ত্রি রফিকুল শেখ নির্যাতিতার বাড়ির পাশে একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে কাজ করছিল। অভিযোগকারিণীকে উদ্ধৃত করে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যে তাঁকে নজরে রেখেছিল, তা তিনি বুঝতে পারেননি। দুপুর ২টোর সময়ে সকলের অলক্ষ্যে সে মহিলার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তিনি তখন রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। রফিকুল যৌন নিগ্রহ শুরু করতেই মহিলা চিৎকার করে ওঠেন। রফিকুল বলপ্রয়োগ করলে তাকে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করেন তিনি। তখনই আক্রমণকারীর নখের আঁচড়ে জখম হন নির্যাতিতা। এমনকি, ধস্তাধস্তি চলার সময়ে মহিলার শরীরে কামড়েও দেয় সে। অনেক চেষ্টার পরে নিজেকে মুক্ত করে দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন মহিলা।

কয়েক জন গ্রামবাসীর দাবি, বাড়ি থেকে বেরিয়ে মহিলা চিৎকার করতে করতে দৌড়চ্ছিলেন। হাতে কাটারি নিয়ে তাঁকে ধাওয়া করছিল অভিযুক্ত। এই দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান অনেকে। লোকজন জড়ো হয়ে গেলে রফিকুল কাটারি ফেলে মাঠে নেমে পালিয়ে যায়।

প্রতিবেশীরাই ক্ষতবিক্ষত মহিলাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসার পরে সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে কৈচর পুলিশ ফাঁড়িতে আসেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অন্য দিকে, এক যুবতীকে যৌন নিগ্রহ ও মারধরের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে খণ্ডঘোষ থানাশ। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম ইন্দ্রজিৎ ঘন্টি ওরফে সাবেদ। খণ্ডঘোষের বিচখাড়া গ্রামে তার বাড়ি। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে তাকে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে ওই যুবতী সাইকেলে চেপে খণ্ডঘোষ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।

অভিযোগ, খণ্ডঘোষ-নবগ্রাম রাস্তা ধরে ফেরার সময়ে শুঁড়িপুকুরের কাছে তাঁরর পথ আটকায় অভিযুক্ত। সাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে তাঁকে মারধর করে। এমনকি তাঁকে যৌন নির্যাতনও করে। যুবতীর চিৎকারেআশপাশের লোকজন এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। তার আগে যুবতীকে প্রাণে মারার হুমকি দেয় সে, লিখিত অভিযোগে এমনই দাবি নির্যাতিতার।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ২০২২-এ যুবতীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিল অভিযুক্ত। সেই সময় তিনি নাবালিকা ছিলেন। এ নিয়ে খণ্ডঘোষ থানায় পকসো আইনে মামলা হয়েছিল। ইন্দ্রজিৎকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। তার জেরেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। বুধবার ধৃতকে বর্ধমান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করানো হয়। ধৃতের হয়ে কোনও আইনজীবী জামিনের আবেদন করেননি। তাকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক। আগামী ২০ নভেম্বর ধৃতকে ফের আদালতে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম।

অন্য বিষয়গুলি:

Police case police arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE