ফাইল চিত্র।
পরকীয়ার জেরে এক ব্যক্তিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ও শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে মৃতের স্ত্রী, তাঁর প্রেমিক ও প্রেমিকের বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম ঝুমা ধোঁক, সামিনউদ্দিন শেখ ও শেখ মুস্তাক আলি। মাধবডিহি থানার সুবলদহে ঝুমার শ্বশুরবাড়ি। জামালপুর থানার জ্যোৎদক্ষিণ গ্রামে সামিনউদ্দিন ও মুস্তাকের বাড়ি। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে ঝুমাকে গ্রেফতার করা হয়। স্বামীকে পরিকল্পনা করে খুনের কথা তিনি কবুল করেছেন বলে পুলিশের দাবি। তাঁর সঙ্গে খুনে প্রেমিক সামিনউদ্দিন ও তাঁর বন্ধু মুস্তাক জড়িত বলে ঝুমা পুলিশের কাছে কবুল করেন। এর পর রাতে জ্যোৎদক্ষিণ গ্রাম থেকে সামিনউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার ভোরে মাধবডিহি থানার কামারহাটি থেকে গ্রেফতার করা হয় মুস্তাককে। ধৃতদের বুধবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতদের ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন সিজেএম।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশান্ত ধোঁকের সঙ্গে ঝুমার বিয়ে হয়েছিল। সামিনউদ্দিনের সঙ্গে ঝুমার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি প্রশান্ত। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হামেশাই অশান্তি হত। মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রশান্ত। কিছু ক্ষণ পর তিনি মারা যান। মৃতের ছেলে পরিবারের লোকজনকে বাবা মারা যাওয়ার কথা ফোন করে জানান। পরিবারের লোকজন এসে ঝুমার কাছ থেকে স্বামীর মৃত্যু কী ভাবে হল তা জানতে চান। ঝুমা কোনও কিছু খুলে বলেনি। উল্টে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান। স্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে পরিবারের লোকজন দেহ সৎকার করতে নিয়ে যান। সৎকার চলাকালীন প্রশান্তর মোবাইলে কিছু রহস্যজনক কথাবার্তার রেকর্ডিং শুনতে পান পরিবারের লোকজন। তাতে প্রশান্তকে মেরে ফেলার বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। এর পরেই পরিবারের লোকজন ঝুমাকে চেপে ধরেন। মৃতের ভাই তাপস ধোঁক দাদাকে পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, পরকীয়ায় পথের কাঁটা হওয়ায় স্বামীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে প্রেমিক সামিনউদ্দিনের সঙ্গে পরিকল্পনা করেন ঝুমা। সেই মতো সোমবার রাতে খাবারের সঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয় প্রশান্তকে। এতে প্রশান্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি কার্যত অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে প্রেমিককে খবর দেন ঝুমা। সামিনউদ্দিন তাঁর বন্ধু মুস্তাককে নিয়ে ঝুমার বাড়িতে হাজির হয়। এরপর অচৈতন্য প্রশান্তকে শ্বাসরোধ করে তিন জন মিলে খুন করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy