—ফাইল চিত্র।
‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পের ‘লিঙ্ক’ পেতে সমস্যা হচ্ছে। তাই আর্থিক সাহায্য চেয়ে আবেদন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন আসানসোল মহকুমার প্রায় চারশো জন মিনিবাস কর্মী। আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করা হয়েছে। তবে ‘লিঙ্ক’ পেতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলে দাবি করেছেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। প্রয়োজনে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন জেলাশাসক।
প্রাথমিক ভাবে সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, অনলাইনে প্রকল্পের আবেদনপত্র ডাউনলোড করতে হবে। পরে পূরণ করা সেই আবেদনপত্র মহকুমাশাসকের কার্যালয় বা ব্লক অফিসে জমা করতে হবে। কিন্তু দূরত্ববিধি মেনে চলার জন্য পরবর্তীতে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে অনলাইনে আবেদনপত্র তোলা ও পূরণ করা আবেদনপত্র অনলাইনেই জমা করার নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রকল্পের জন্য জরুরি ‘অ্যাপ্লিকেশন’-টি ‘গুগল প্লে-স্টোরে’ ও ‘https:// prachesttawb.in’ পোর্টাল থেকে পাওয়া যাবে। সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য ও নথি দিয়ে আবেদন করা যাবে।
আর এতেই বিপাকে পড়ে গিয়েছেন সাধারণ উপভোক্তারা। যে ‘অ্যাপ’ থেকে ফর্ম তোলা যাবে তার ‘লিঙ্ক’ পাওয়া যাচ্ছে না বলে বুধবার অভিযোগ তুলেছেন আসানসোল মহকুমার প্রায় ৪০০ জন মিনিবাস কর্মী। তাঁদেরই এক জন প্রবোধ শর্মা বলেন, ‘‘অনেক চেষ্টা করেও লিঙ্ক পাচ্ছি না। আর্থিক সাহায্য চেয়ে কী ভাবে আবেদন করব বুঝতে পারছি না।’’ মঙ্গলবার একই অভিযোগ করেছিল জেলা নির্মাণকর্মী ইউনিয়নও।
আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চারশো কর্মী এই সংগঠনের অন্তর্গত ‘বদলি’ শ্রমিক। অর্থাৎ, মিনিবাসের স্থায়ী চালক, খালাসি বা কর্মী যখন অনুপস্থিত থাকেন, তাঁদের হয়ে কাজ করেন এই ‘বদলি’ শ্রমিকেরা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রায় জানান, গত দেড় মাস ধরে মিনিবাস পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে মহকুমায়। স্থায়ী কর্মী-শ্রমিকদের বেতন, খাদ্যসামগ্রী ও আর্থিক সাহায্যও করা হচ্ছে। কিন্তু ‘বদলি’ শ্রমিকদের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া ছাড়া, আর কোনও আর্থিক সাহায্য করতে পারেননি তাঁরা। সুদীপবাবু বলেন, ‘‘তাই ঠিক করেছিলাম, প্রচেষ্টা প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁদের আর্থিক সাহায্য পাইয়ে দেব। কিন্তু তাতেও লিঙ্ক-সমস্যা।’’ সমস্যার কথা তাঁরা মহকুমার ডেপুটি শ্রম কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের কাছে জানিয়েছেন।
ডেপুটি শ্রম কমিশনার কল্লোল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ বিষয়ে শ্রম দফতরের কোনও ভূমিকা নেই। অনলাইনে পূরণ করা আবেদনপত্র জমা পড়লে, আমরা কাজ করতে পারব।’’ অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি দাবি করেন, ‘‘লিঙ্ক না পাওয়ার কোনও কারণ নেই। ‘গুগল প্লে-স্টোর’ থেকে সহজেই এই অ্যাপ ডাউনলোড করা যাচ্ছে।’’ যদি কোনও সমস্যা হয়, তা হলে ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy