প্রতীকী ছবি।
খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগে রবিবার সকালে এক রেশন ডিলারকে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখার অভিযোগ উঠেছে ভাতারে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্বে আনে। উপভোক্তাদের একাংশের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের মদতেই ওই রেশন ডিলার উপভোক্তাদের খাদ্যসামগ্রী কম দিচ্ছিলেন। যদিও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত অভিযোগ মানতে চাননি। খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ার কথাও মানেননি ভাতারের আমারুন ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কুবাজপুরের রেশন ডিলার সৈয়দ আনোয়ার। তাঁর কথায়, “আমরা নিজেরাই খাদ্যসামগ্রী কম পেয়েছি। সেই অনুপাতেই গ্রাহকদের মধ্যে বিলিবন্টন করা হয়েছে।’’
জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, কুবরাজপুরের ওই ঘটনা নিয়ে মহকুমা খাদ্য নিয়ামকের (বর্ধমান সদর) কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট চক্রের খাদ্য পরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিদর্শক দয়ানন্দ গোস্বামী বলেন, “গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে রেশন বিলি দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে সমস্যা মিটিয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে জেলা খাদ্য ভবনে রিপোর্ট করা হবে।’’
শনিবারই খণ্ডঘোষের আমরাল গ্রামে রেশনে খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগে অরূপ রুদ্র নামে এক ডিলারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাঁকে সাসপেন্ড করেন মহকুমা খাদ্য নিয়ামক (বর্ধমান সদর) স্বপন বিশ্বাস। তাঁর কথায়, “রেশন থেকে খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এ দিন ধৃত ডিলারকে বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হেফাজত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার থেকে রেশন দিতে শুরু করেছেন ভাতারের ওই ডিলার। প্রথম থেকেই সরকার নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে রেশন দেওয়া শুরু হওয়ার পরেও একই অভিযোগ ওঠে। গ্রামের বাসিন্দা তুহিন সাঁই, সিন্টু চট্টোপাধ্যায়, মধুসূদন রায়, রাজীব পালদের অভিযোগ, খাদ্যসামগ্রীর জোগান কম অজুহাত দিয়ে শনিবার থেকে চাল ও আটা কম দেওয়া হচ্ছে। কার্ড পিছু ৫০০ গ্রাম থেকে এক কেজি চাল কম দেওয়া হয়েছে। আবার আটার প্যাকেটও কম পেয়েছেন উপভোক্তারা। উপভোক্তাদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কৃষ্ণচন্দ্র দত্তের মদতেই রেশন ডিলার কম খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন। এর পরেই ওই ডিলারকে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ঘেরাও করে রাখা হয়। খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়া হচ্ছে বুঝে ডিলারের সঙ্গে কথা বলা হয়। উনি প্রথমে মানতে চাইছিলেন না। ততক্ষণে বাইরে বিক্ষোভ বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত যে সব উপভোক্তা খাদ্যসামগ্রী কম পেয়েছেন, সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী তাঁদের সামগ্রী দেওয়া হবে জানানোর পরে বিক্ষোভ ওঠে।
পঞ্চায়েত সদস্য কৃষ্ণচন্দ্র দত্তের দাবি, “রেশন নিতে এসে সবাই যাতে ঠেসাঠেসি করে না দাঁড়ান, সে জন্য লাইন ঠিক করছিলাম। আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ তুলছেন কেউ কেউ। যাঁরা খাদ্যদ্রব্য কম পেয়েছেন, তাঁদের বাকি খাদ্যদ্রব্য দেওয়া হবে বলে ডিলার জানিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy