বাসের অপেক্ষায় যাত্রীরা। সোমবার দুর্গাপুরে। নিজস্ব চিত্র
আসানসোল শিল্পাঞ্চলে সোমবার বাস চলাচল স্বাভাবিকই ছিল বলে দাবি। বাস না পেয়ে দুর্ভোগের অভিযোগ শোনা যায়নি যাত্রীদের কাছ থেকে। তবে এ দিনও রাস্তায় পূর্ণ সংখ্যায় বাস নামাননি মালিকেরা। তাঁদের দাবি, যাত্রীদের চাহিদার উপরে নির্ভর করে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে মালিকেরা এখনও তাঁদের অনড় মনোভাবের কথা স্পষ্ট করেছেন।
দুর্গাপুরে অবশ্য গত কয়েকদিনের মতোই এ দিন বড়বাস ও মিনিবাস চলেছে। ‘লকডাউন’ শিথিল হওয়ার পর থেকেই দুর্গাপুরে বিভিন্ন রুটে প্রায় ৪০টি মিনিবাস চলছে। এ দিনও সেই মিনিবাসগুলি চলেছে। দুর্গাপুর থেকে বাঁকুড়ার মালিয়াড়া হয়ে যাতায়াতকারী মিনিবাসগুলিও চলেছে এ দিন। বড় বাস চলেছে দুর্গাপুর-বরাকর, দুর্গাপুর-বাঁকুড়া, দুর্গাপুর-বান্দোয়ান, দুর্গাপুর-বর্ধমান প্রভৃতি রুটে। এখানেও যাত্রী দুর্ভোগের অভিযোগ ওঠেনি।
তবে ভাড়া না বাড়লে পরিষেবা চালু রাখা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন দুর্গাপুরের বাসমালিক এবং বাসকর্মী, দুই সংগঠনই। দুর্গাপুরের মিনিবাস মালিকদের অন্যতম সংগঠন ‘দুর্গাপুর প্যাসেঞ্জার ক্যারিয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক কাজল দে বলেন, ‘‘ভর্তুকি দিয়ে সমস্যা মিটবে না। বাস চালাতে যা খরচ তা, ভর্তুকি দিয়ে উঠবে না। কারণ, পর্যাপ্ত যাত্রী নেই। তাই ভাড়া না বাড়ালে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে বলে আমাদের আশঙ্কা।’’ তিনি জানান, দুর্গাপুর মহকুমায় মিনিবাস চলে মোট ২৭০টি। অথচ, এখন চলছে মাত্র ৪০টি। তা-ও যাত্রীর অভাবে ধুঁকছে। আইএনটিইউসি প্রভাবিত বড় বাস কর্মী সংগঠনের নেতা স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিস্থিতি খুব খারাপ। ভাড়া না বাড়লে কয়েকদিনের মধ্যেই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে।’’
এ দিকে, আসানসোল বড় বাস অ্যাসোসিয়েশন-এর সাধারণ সম্পাদক বিজন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এ দিন শহর সার্ভিস-সহ দূরপাল্লায় মোট ১২৫টি বাস যাতায়াত করেছে। যদিও সাধারণ দিনে আসানসোল মহকুমায় প্রায় ৪০০টি বড় বাস চলাচল করে। এখনও পর্যন্ত পূর্ণ সংখ্যায় বাস রাস্তায় নামানো হচ্ছে না কেন? বিজনবাবু বলেন, ‘‘এখনও সে ভাবে যাত্রীর চাহিদা নেই। তাই এই সংখ্যায় বাস চালাচ্ছি।’’ আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দাবি করা হয়েছে, এ দিন আসানসোল মহকুমার বিভিন্ন রুটে প্রায় ১৭৫টি মিনিবাস চলাচল করেছে।
সরকার বাসের ভাড়া না বাড়ানোয় এ দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাস চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়। তবে আসানসোল বাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিজনবাবু বলেন, ‘‘আমরা এখানে বাস বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কম সংখ্যায় হলেও যাত্রী পরিষেবা জারি রাখব।’’ একই বক্তব্য আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপবাবুর। কিন্তু তিনি বলেন, ‘‘বাসকর্মীদের করোনা বিমা বাবদ অর্থের অনুদান, তাঁদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা-সহ মালিকদের বকেয়া মেটানোর দাবিতে আমরা অনড়।’’
এ দিন আসানসোল, বরাকর ও বার্নপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেল, নির্দিষ্ট সময় পর পর বাস ছেড়েছে। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ আসানসোল বাসস্ট্যান্ডে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন অনেকেই। তাঁদেরই এক জন পঞ্চায়েত কর্মী বিপ্রদীপ চট্টরাজ বলেন, ‘‘এখন বাসের সমস্যা নেই। অন্তত অফিসে যাওয়ার সময় ও ফেরার সময় বাস পাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy