আসানসোলে চলছে পানীয় জলের পাইপ সারানোর কাজ। নিজস্ব চিত্র
জল অনেকটাই নেমে গিয়েছে। কিন্তু এ বার দেখা গিয়েছে নতুন বিপত্তি। প্লাবনের জলের তোড়ে আসানসোলের বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের পাইপ ভেঙে গিয়েছে। তার জেরে আসানসোল, রানিগঞ্জ, বার্নপুর, কুলটি-সহ কয়েকটি এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার জেরে ক্ষুব্ধ ওই সব এলাকার বাসিন্দারা। শনিবার বিক্ষোভ দেখান রানিগঞ্জের বাসিন্দাদের একাংশও। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য জলশূন্য হয়ে পড়া এলাকাগুলিতে ট্যাঙ্ক পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় কম বলেও অভিযোগ উঠেছে।
টানা চার দিন ধরে জলমগ্ন থাকার পর ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে আসানসোল। বিভিন্ন এলাকায় এখন চলছে প্লাবনের ক্ষত মেরামতি। পানীয় জলের পাইপ এবং রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছে আসানসোলের বহু এলাকায়। শহরের মধ্যে থাকা নুনিয়া এবং গাড়ুই নদীর জলস্তরও কমেছে। রানিগঞ্জের বাইপাসে একটি কালভার্ট জলের স্রোতে ভেঙে গিয়েছে। আসানসোল এবং রানিগঞ্জ থেকে বাঁকুড়া যাওয়ার এটাই ব্যস্ততম রাস্তা। সেই রাস্তা এখন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। ওই রাস্তা দ্রুত সারানোর দাবি উঠেছে। আসানসোলের পুর প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জলের পাইপলাইনের কাজ চলছে। রাস্তা সারানোর ব্যবস্থা চলছে। চেষ্টা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার। আশা করি, রবিবার সকাল থেকেই রানিগঞ্জবাসীকে জল দিতে পারব।’’ পুরনিগমের কমিশনার নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘‘প্লাবনের জেরে সম্পূর্ণ এবং আংশিক মিলে পুরসভার প্রায় আড়াই হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’’
ধীরে ধীরে প্লাবন পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে পূর্ব বর্ধমানেও। ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ায় দামোদরের জলস্তর কমেছে। অজয়ের জল কমায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম এবং আউশগ্রামের প্লাবন পরিস্থিতি। অজয় নদের পার্শ্ববর্তী মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম, লাখুড়িয়া, ঝিলু এক, মাঝিগ্রাম, ভাল্যগ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু গ্রাম, কেতুগ্রামের পাণ্ডুগ্রাম,পালিটা, নবগ্রাম, বিল্লেশ্বর, তেওরা, চরখি,বারান্দা— সমস্ত গ্রাম থেকে বন্যার জল নামতে শুরু করেছে। এই সব গ্রামের বাসিন্দাদের ঘর জলে ডুবে গিয়েছিল। তবে কাটোয়া, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোটের কয়েক হাজার হেক্টর ধান জমি এখনও জলের তলায়। কাটোয়া-সিউড়ি রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে এখনও নদীর জল বইছে।
শনিবার পূর্ব বর্ধমানের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বন্যা পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধানের কথা ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy