পূর্বস্থলীর ছাড়িগঙ্গা ভরেছে কচুরিপানায়। —নিজস্ব চিত্র।
শীত পড়তেই পরিযায়ী পাখিদের দেখা মিলছে পূর্বস্থলীর চুপির পখিরালয়ে। তবে ছাড়িগঙ্গা জুড়ে ঘন কচুরিপানা থাকায় পাখিদের চলাফেরায় বাধা পড়ছে। পক্ষী প্রেমীদের দাবি, নিজেদের মনের মতো পরিবেশ না পেলে পাখির সংখ্যা কমে যেতে পারে। জলাশয় থেকে পানা সরানো না হলে রঙিন পাখিদের জলে ডুবে মাছ ধরা, জলাশয়ের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়ার দৃশ্য থেকেও বঞ্চিত হবেন পর্যটকেরা।
বহু বছর ধরেই থেকে চুপির ছাড়িগঙ্গার মিষ্টি জলে আনাগোনা রয়েছে পরিযায়ী পাখিদের। শীতকাল জুড়ে নানা রঙের পাখিদের দেখতে ভিড় লেগে থাকে এই জলাশয়ে। জলাশয়ের গা ঘেঁষে সরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু কটেজ। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য গড়া হয়েছে পিকনিক স্পট, নজরমিনার। পক্ষীপ্রেমীদের দাবি, গ্রে হেরন, রুডি শেলডাক, স্মল প্রোটিন কোল, রিভার ল্যাপ উইং, পার্পল হেরন, রেড ক্রেস্টেড পোচার্ড, গ্রিন বি ইটার-সহ বেশ কিছু প্রজাতির পাখি দেখা যায় এখানে। হাজার হাজার মাইল পথ পেরিয়ে উড়ে আসে তারা। পর্যটকেরা নৌকায় ঘুরে ঘুরে পাখিদের ছবি তোলেন। তবে এ বার জলাশয়ের বেশির ভাগই কচুরিপানায় ভরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বর্ষায় কচুরিপানা ভেসে আসে। জলের গতি না থাকায় কচুরিপানা আটকে থেকে যায়। তবে পাখিদের খাবারের পোকামাকড়ের জন্য কিছুটা কচুরিপানা প্রয়োজনও হয়। অনেক পাখি ডিমও পাড়ে তার মধ্যে। তবে এ বার কচুরিপানা এতটাই বেশি যে নৌকা চালানো, পাখিদের ঘোরাফেরায় বাধা পড়ছে। দুই পর্যটক গোপাল মণ্ডল এবং সমীর চৌধুরী বলেন, ‘‘দ্রুত প্রশাসনের উচিত জলাশয় থেকে কচুরিপানা সরানো।’’
সোমবার চুপির পাখিরালয় ঘুরে দেখেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি, কালনার মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল, পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের সাংসদ সুনীল মণ্ডলেরা। পর্যটকদের জন্য কতটা সুবিধা রয়েছে, দেখেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিধায়ক বলেন, ‘‘ছাড়িগঙ্গায় কচুরিপানার অবস্থা দেখেছি। জেলাশাসককে বলেছি, আগেও এই সমস্যা হয়েছিল।সেই বার পর্যটন দফতর কচুরিপানা সরানোর জন্য ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। যদিও ওই অর্থ কাজে লাগেনি। ফিরিয়ে দেওয়া হয়।’’ এ বার টাকা পেলে ভাল হয়, দাবি তাঁর। এ ছাড়া ছাড়িগঙ্গার শেষ দিকে নদিয়ার একটি অংশে রাস্তা তৈরি হওয়ার কারণে পর্যাপ্ত জল ঢুকতে পারছে না। ওই অংশে যাতে একটি কার্লভাট তৈরি করা যায়, সেই ব্যাপারটি নদিয়ার জেলাশাসকের নজরে আনারও আর্জি জানানো হয়। তিনি বলেন, ‘‘পখিরালয়মুখী একটি রাস্তা চওড়া করে তৈরি করার জন্য নিজের তহবিল থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সাংসদ। চেষ্টা চলছে পাখিরালয়কে আরও আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy