পূর্বস্থলীর ঝাউডাঙায় ভাগীরথীতে ভাঙন। —নিজস্ব চিত্র
ভাগীরথীতে বাড়তে শুরু করেছে জলস্তর। ভাঙন নিয়ে চিন্তা বাড়ছে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের ঝাউডাঙায়। ভাঙন রোধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা কতটা ফলপ্রসূ হবে, সে নিয়ে সন্দিহান তাঁরা। এলাকার একটি অংশে রাস্তা তলিয়ে গিয়ে গ্রাম ডুবতে পারে, এমন আশঙ্কাতেও রয়েছেন অনেকে।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় সবচেয়ে ছোট পঞ্চায়েত ঝাউডাঙা। চার দিক জলে ঘেরা। এলাকার মানুষজন দোকান, বাজার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র-সহ নানা প্রয়োজনে নৌকায় নদী পেরিয়ে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পাটুলিতে যাতায়াত করেন। সড়কপথে ঝাউডাঙার সঙ্গে যোগ রয়েছে নদিয়ার বেথুয়াডহরির। বাসিন্দারা জানান, বর্ষা এলেই ফুলেফেঁপে ওঠে নদী। বাড়ে ভাঙনের সমস্যা। নদী ভাঙনে ইতিমধ্যে তলিয়ে গিয়েছে বাড়ি, চাষের জমি, রাস্তা, এমনকী এলাকার আস্ত একটি মৌজাই। নদীর পাড় যত ভেঙেছে, বিপদ বেড়েছে গ্রামের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভাঙন রোধে সেচ দফতরের তরফে বছরখানেক আগে পলিথিনের ব্যাগে বালি ভর্তি করে তা ধাপে-ধাপে সাজিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে এখনও এলাকার একটি বড় অংশে রয়েছে ভাঙনের সমস্যা। ঝাউডাঙার বাসিন্দা সুভাষ অধিকারী বলেন, ‘‘পাড়ে রাখা বালি ভর্তি বস্তাগুলি অনেকে নষ্ট করে দিচ্ছেন। আবার গরু, মোষ নদীতে স্নান করাতে গেলে তাদের পায়েও নষ্ট হচ্ছে ওই বস্তা। নদীতে আরও কিছুটা জল বাড়লে বোঝা যাবে কতটা ভাঙন রোখা সম্ভব হয়েছে।’’ তিনি জানান, গ্রামের যে পাকা রাস্তাটির বেথুয়াডহরির সঙ্গে যোগ রয়েছে, তার কাছেই পৌঁছে গিয়েছে ভাঙন। ওই অংশটি বাঁধানো না গেলে রাস্তাটি শুধু নদীগর্ভে চলে যাবে তা নয়, সেখান দিয়ে নদীর জল গোটা গ্রামে ঢুকে যেতে পারে। অবিলম্বে এই অংশটি বাঁধানো প্রয়োজন বলে দাবি তাঁদের।
ঝাউডাঙার পাশাপাশি ভাঙনের এমন সমস্যায় ভুগছে এই ব্লকের ছাতনি এবং যজ্ঞেশ্বরপুর এলাকাও। স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ ঘোষের দাবি, ‘‘বর্ষা এলেই ঝাউডাঙার মানুষ ভাঙনের আতঙ্কে ভোগেন। পলিথিনের বস্তা দিয়ে যে অংশের পাড় বাঁধানোর কাজ হয়েছে, তা জল বাড়লে তলিয়ে যেতে পারে। সরকার লোহার চাদর দিয়ে পাথর ফেলে পাড় বাঁধানোর কাজ করুক।’’
পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য জানান, বিশেষ পদ্ধতিতে বস্তা ফেলে পাড় বাঁধানোর যে কাজ সেচ দফতর করছে, তাতে ভাল ফল মিলছে। ঝাউডাঙায় ১,২০০ মিটার এলাকায় ভাঙন রোধে কাজ করা হয়েছে। আরও ১,২০০ মিটার এলাকায় কাজের প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে। বিধায়কের দাবি, ছাতনি এবং যজ্ঞেশ্বরপুরেও ভাঙন রোধে শীঘ্র বালির বস্তা ফেলে কিছু কাজ করা হবে। এ ব্যাপারে কাজের অনুমোদনও হয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy