বিজেপির স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচিতে জড়ো হয়েছেন অনেকেই। মুখ বাঁধা কয়েক জনের। ছবি: পাপন চৌধুরী
বিজেপির স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বারাবনিতে বিডিও অফিসের অদূরেই অশান্তি ছড়াল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুলিশের সামনেই স্কুল চত্বরের ভিতরে বেশ কয়েকটি বোমা পড়ে। চলে এক রাউন্ড গুলিও। ঘটনা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টা নাগাদ দোমহানি শিবস্থান থেকে বিজেপির প্রায় তিনশো সদস্য, সমর্থক মিছিল করে ব্লক অফিসের দিকে এগোতে থাকেন। অফিসের থেকে মেরেকেটে দেড়শো মিটার আগেই গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে মিছিল আটকায় পুলিশ। বিজেপি কর্মীরা সেখানেই রাস্তার উপরে বসে পড়ে স্লোগান দিতে থাকেন। বিজেপি নেতৃত্ব জানান, পুলিশকে তাঁরা বারবার জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে স্মারকলিপি দিয়ে চলে যাবেন।
অভিযোগ, এর মাঝে আচমকা দোমহানি কেলেজোড়া বালিকা বিদ্যালয় ও দোমোহানি উচ্চ বিদ্যালয় লাগোয়া মাঠে, এমনকি স্কুলের সীমানা পাঁচিলের ভিতরেও বেশ কয়েকটি বোমা পড়তে শুরু করে। এই ঘটনার পরেই এলাকা জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। আচমকা এই ঘটনায় ব্লক অফিসে কাজে আসা সাধারণ মানুষজনের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ছুটে যান আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (পশ্চিম) সত্যব্রত চন্দ। পুলিশ পদক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শেষমেশ স্মারকলিপি না জমা দিয়েই ফিরে যান বিজেপি কর্মীরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ দিন ব্লক অফিস চত্বরে বারাবনি পঞ্চায়েত সমিতি ওই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই কয়েকশো তৃণমূল সদস্য, সমর্থকও ব্লক অফিসে ছিলেন।
পুলিশ জানায়, কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়। বন্ধ রাখা হয় এলাকার বাজার, দোকানপাট। সকাল ১১টা থেকে দোমহানি মূল রাস্তায় যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল বন্ধ করা হয়।
ঘটনার পরেই পারস্পরিক দোষারোপ শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি প্রশান্ত চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘আমাদের কর্মসূচি বানচাল করতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়েছে। গুলি চালিয়েছে।’’ তবে তৃণমূলের বারাবনি ব্লক সভাপতি অসিত সিংহ বলেন, ‘‘বারাবনি পঞ্চায়েত সমিতি আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচি বানচাল করতে এ সব বিজেপি-ই করেছে।’’ দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তবে পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ বলেন, ‘‘এলাকায় বোমা ফাটানোর খবর পেয়েছি। তদন্ত চলছে। বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার হয়নি।’’ বিডিও (বারাবনি) সুরজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘কী অশান্তি হয়েছে জানি না। আমার কাছে কোনও স্মারকলিপি জমা পড়েনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy