প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় অর্থ বাজেট নিয়ে মিশ্র মত দেখা গিয়েছে জেলায়। শিল্পোদ্যোগীদের মতে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরও বেশি পদক্ষেপ করা দরকার ছিল। তবে জৈব চাষ, যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিশেষ নজর দেওয়াকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন বণিক সংগঠন।
ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের কার্যকরী সভাপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদ খেতানের দাবি, ‘‘ইস্পাত, কয়লা-সহ ভারী শিল্পের উন্নতির স্পষ্ট দিশা নেই। ফলে, অনুসারী শিল্পগুলির উন্নয়ন আদৌ ঘটবে কি না, সন্দেহ রয়েছে।’’ পাশাপাশি, তাঁর মতে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে কোনও পরিকল্পনা নেই। যদিও শিল্পোদ্যোগীদের একাংশ বাজেটে উল্লিখিত ‘জিইএম’-এর (গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট প্লেস) মানোন্নয়ন, রফতানিকারীদের জন্য ‘নির্ভীক’ প্রকল্প প্রভৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। পাশাপাশি, দূষণ রোধ, ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি বৃদ্ধি, কৃষি ক্ষেত্রে বাড়তি নজর নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজেন্দ্রবাবু। সেই সঙ্গে পর্যটন ক্ষেত্রে ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে, মনে করছেন আসানসোল চেম্বার অব কমার্সের উপদেষ্টা সুব্রত দত্ত। তাঁর মতে, ‘‘পর্যটন ক্ষেত্রে নজর দিলে হোটেল-শিল্প উপকৃত হবে। উপকৃত হবে দেশের অর্থনীতিও।’’
বাজেটে জৈব কৃষির ক্ষেত্রটিকে গুরুত্ব দেওয়া এবং তা ‘অনলাইনে’র মাধ্যমে (‘জৈবিক খেতি’ পোর্টাল) বিক্রি আরও শক্তিশালী করার কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন আসানসোলের জৈব কৃষি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থার প্রধান প্রেম গোয়েল। তবে তাঁর আশা, এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকেও উৎসাহী হতে হবে। বাজেটে কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়ন, রেললাইনের পাশের জমিতে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি, যোগাযোগে নজরকে স্বাগত জানিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক ভীরেন্দ্রকুমার ঢলও।
তবে বাজেট নিয়ে তোপ দেগেছে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতির দলগুলি। তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘এই বাজেটে রাজ্যের জন্য কিছু নেই। দিশাহীন বাজেট। জেলার শিল্প ক্ষেত্র উপকৃত হবে না।’’ সিপিএম নেতা বংশগোপাল চৌধুরীও মনে করেন, ‘‘অর্থনীতি কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, সে দাওয়াই নেই এই বাজেটে। শিল্প ঘুরে না দাঁড়ালে অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে না। এই সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা-সহ নানা সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ঘুরিয়ে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে।’’ তবে বিজেপি নেতা লক্ষ্মণ ঘোড়ুই এ সব অভিযোগকে আমল দিচ্ছেন না। তাঁর মতে, ‘‘সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যেই এই বাজেট।’’
এ দিনের বাজেটে দুর্গাপুর থেকে হাওড়া ও শিয়ালদহের লোকাল ট্রেন চালুর কোনও প্রস্তাব না থাকায় হতাশ বলে জানিয়েছেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ। তাঁরা জানান, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। সিপিএমের তৎকালীন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান থাকাকালীন জানিয়েছিলেন, লোকাল চালুর সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। কিন্তু তার পরেও এই রুটে লোকাল চালু না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নিত্যযাত্রীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy