Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
Maslin

মসলিনের গ্রাম দেখে গেলেন দুই বিদেশি গবেষক 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার বাসিন্দা সুজয় নাগের মাধ্যমে এই গ্রামের খোঁজ পান দুই বিদেশি।

গ্রামে বিদেশিরা। নিজস্ব চিত্র

গ্রামে বিদেশিরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৪৮
Share: Save:

মসলিনে মুগ্ধ হলেন দুই বিদেশি। সম্প্রতি ফুলিয়া, বিষ্ণুপুরের মতো নানা জায়গায় গবেষণার কাজে ঘুরছেন ‘নিউইয়র্ক মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট’-এর টেক্সটাইল বিভাগের প্রাক্তন দুই কিউরেটার ইয়েল রোসেলফিল্ড এবং অ্যালেস ব্লোম। সোমবার মসলিন শিল্পীদের খোঁজে তাঁরা আসেন কালনার কাদিপা়ড়া গ্রামে। দু’শো গ্রাম ওজনেরও যে শাড়ি হতে পারে, জেনে বিস্মিত হন তাঁরা। ফিরে গিয়ে এই শিল্পের কথা তুলে ধরারও আশ্বাস দিয়ে যান।

কালনা ‘উইভার্স অ্যান্ড আর্টিজেন সোসাইটি’র তরফে তপন মোদক বলেন, ‘‘দুই গবেষক জানিয়েছেন ফিরে গিয়ে নিউইয়র্কের মিউজিয়াম কমিটির গভর্নিং বডির কাছে আমাদের এই শিল্পের কথা তুলে ধরবেন।’’ দু’জনে তিনশো ও চারশো ‘কাউন্ট’-এর দু’টি শাড়ি ও দু’টি ওড়নাও নিয়ে গিয়েছেন বলে জানান তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার বাসিন্দা সুজয় নাগের মাধ্যমে এই গ্রামের খোঁজ পান দুই বিদেশি। এ দিন গ্রামের ‘মসলিন উইভিং স্পিনিং সেন্টার’-এ গিয়ে কী ভাবে তুলো থেকে সুতো তৈরি হচ্ছে, তার পরে শাড়ি বোনা, নকশা তোলা, তা প্যাকেটজাত করা খুঁটিয়ে দেখেন তাঁরা। তবে চমক লাগে শাড়ি হাতে নেওয়ার পরে। ওই কেন্দ্রের অভিজ্ঞ শিল্পী সুকুমার দাস তাঁদের দেখান, বারো হাতের শাড়ি কী ভাবে নারকেলের ছোট খোলের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। ১৪ হাতের একটি শাড়িকে আংটির মধ্যে দিয়ে বার করেও দেখানো হয়। সুকুমারবাবু জানান, ওই শাড়ির ওজন মাত্র ২১৫ গ্রাম।

শিল্পীরা জানান, হাজার মিটার মসলিন সুতোর ওজন মাত্র দু’গ্রাম। শাড়ি তৈরির ধরন, ওজন এবং সূক্ষ্ম কারুকার্যে মুগ্ধ হন ওই দুই গবেষক। তাঁরা জানান, সিন্থেটিকে অনেক কিছু সম্ভব। কিন্তু তুলোর তৈরি সুতো দিয়ে এত হাল্কা উন্নত মানের শাড়ি যে বোনা যায়, তা এখানে না এলে জানতে পারতেন না তাঁরা। সুজয়বাবু জানান, এক বান্ধবীর মাধ্যমে এই দুই গবেষকের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময়ে ভাষার সমস্যা যাতে না হয়, সেই জন্যই সঙ্গে ছিলেন তিনি। কাদিপাড়া থেকে বেরিয়ে কালনার ১০৮ শিবমন্দিরেও যান ওই দু’জন।

‘কালনা উইভার্স অ্যান্ড আর্টিজেনস সোসাইটি’র দাবি, রাজ্য সরকারের খাদি বোর্ডের তরফে তুলো, সুতো, যন্ত্র দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে তাঁদের। দেশে-বিদেশে সম্মানিত হয়েছে তাঁদের তৈরি একাধিক পণ্য।

অন্য বিষয়গুলি:

Maslin Fulia Kalna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy