Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

হাল ফিরল ট্র্যাফিকের

এ দিকে, সোমবার গভীর রাতে রেলের তরফে পুরনো সেতুর উপর লাগানো ‘হাইট বার’টি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে একটি লরিকে আটক করে পুলিশ।

 বাস দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া ফ্লেক্স। নিজস্ব চিত্র

বাস দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া ফ্লেক্স। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:০৭
Share: Save:

পুরনো সেতুতে বাস-সহ মাঝারি ও ভারী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ট্র্যাফিকে ‘অব্যবস্থা’ দেখা গিয়েছিল। সোমবার বাজেপ্রতাপপুরের চারখাম্বা থেকে জেলাশাসকের বাংলো পর্যন্ত ‘অপরিকল্পিত’ ট্র্যাফিক ব্যবস্থা দেখে ক্ষুব্ধ হন পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ওই এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ মানুষের হয়রানি কমাতে এবং যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলা পুলিশ বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণেও এসেছে।

এ দিকে, সোমবার গভীর রাতে রেলের তরফে পুরনো সেতুর উপর লাগানো ‘হাইট বার’টি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে একটি লরিকে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় লরিচালক খণ্ডঘোষের শাঁকারি গ্রামের শেখ রফিককে। পুলিশের দাবি, ‘হাইট বারের’ ফাঁক গলে পার হতে গিয়েই বিপত্তি বাধায় ছ’চাকার ওই লরি। ধৃতের বিরুদ্ধে পুলিশ সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা ও বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগ করেছে। পরে এ দিন বিকেলে রেলের তরফে আড়াই মিটার উচ্চতার ‘হাইট বার’টি ফের ঠিক করে দেওয়া হয়। আদালতে তোলা হলে জামিন পান লরিচালকও।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবারই এসপি-র নির্দেশের পরেই ট্র্যাফিক ব্যবস্থা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন ডিএসপি (বর্ধমান সদর) শৌভিক পাত্র, আইসি (বর্ধমান) পিন্টু সাহা। মঙ্গলবার বাজেপ্রতাপপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শোলাপুকুর থেকে জেলাশাসকের বাংলোর সামনে রাস্তায় দু’দিকে নয়, এক দিকে বাসের সারি রয়েছে। কালনা রুটের যাত্রীদের অনেকটা ঘুরে এসে বাস ধরতে হচ্ছিল, এ দিন পুরনো সেতুতে ওঠার মুখ থেকে বাস ধরার ব্যবস্থা করে পুলিশ। এ ছাড়াও কোথায় অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড, কোন বাস কোথায় দাঁড়াবে তার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে ফ্লেক্স ঝোলানো হয়। পুরনো সেতুতে ওঠার মুখে বড় করে লেখা রয়েছে ‘নো এন্ট্রি’। দু’দিকে বড় ফ্লেক্সে লেখা রয়েছে, ‘ডান দিক দিয়ে কোনও গাড়ি যাবে না’। অর্থাৎ সেতুতে ওঠা-নামার জন্য রাস্তার একটি দিক নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়।

নতুন রেলসেতুর নীচে অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড। নিজস্ব চিত্র

বিকল্প পথ

• কাটোয়া রুটের সমস্ত বাস দাঁড়াবে শোলাপুকুর মসজিদের কাছে। যাত্রীদের সেখানে নামিয়ে ফাঁকা বাস চলে যাবে নতুন রেলসেতুর নীচের অস্থায়ী স্ট্যান্ডে।
• ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়ের ১৫ মিনিট আগে কাটোয়া, নতুনহাট, ফুটিসাঁকো, বহরমপুর রুটের ওই বাসগুলি জেলাশাসকের বাংলোর সামনে দিয়ে এসে নতুন সেতুর সামনে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলবে। তবে ১৫ মিনিটের বেশি দাঁড়ানো যাবে না।
• কালনা, নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর রুটের বাস দাঁড়াবে জেলাশাসকের বাংলোর আগে রাস্তার এক ধারে, পুরনো সেতুর মুখ পর্যন্ত ওই লাইন চলবে।
• রাস্তার ডান দিক ধরে কোনও গাড়ি যাতায়াত হবে না।

রবিবার থেকে বর্ধমান-কাটোয়া রোডের উপরে রেলের পুরনো সেতুতে ভারী ও মাঝারি যান চলাচলের সঙ্গে শহরের ভিতর বাস ঢোকাও বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রথম দু’দিন বাসগুলি রাস্তার উপরেই দাঁড়ানোয় যানজট দেখা দেয়। পুলিশ সুপার বলার পর মঙ্গলবার থেকে সেতুর নীচে ঘেরা বড় জায়গায় বাসগুলি রাখা শুরু হয়েছে। বাস মালিকদের একটি সংগঠনের সম্পাদক শরৎ কোনারের দাবি, “পুলিশ সুপার ঘুরে যাওয়ার পরে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা অনেকটাই গোছানো হয়েছে। যাত্রীদের হয়রানিও অনেকটাই কম।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Traffic Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy