টোটোর ভিড় রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র
ডাক্তারের চেম্বার, ল্যাবরেটরি, ওষুধের দোকান, নার্সিং হোমে গিজগিজ করছে এলাকা। যে কোনও রোগেই শহর এবং শহরের বাইরের মানুষ ছুটে আসেন এখানে। কিন্তু মানুষের রোগ সারালেও যানজট-ব্যাধি সারে না বর্ধমান শহরের খোসবাগানের। ভুক্তভোগীদের দাবি, প্রশাসন লাগাম না কষলে এ রোগ সারা অসম্ভব।
রবিবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত খোসবাগান এলাকায় যানজট লেগে থাকে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স, টোটো, মোটরভ্যান থেকে মোটরবাইকের ভিড়ে চলাচলেরও জায়গা থাকে না। স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের দাবি, খোসবাগানের নারকেল বাগান মোড় থেকে হরিসভা স্কুল, ভলিবল মাঠ পেরিয়ে আরবি ঘোষ রোড পর্যন্ত রাস্তার দু’দিকে রয়েছে অসংখ্য চেম্বার, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি, নার্সিংহোম এবং ওষুধের দোকান। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানগুলির বেশির ভাগেরই পার্কিংয়ের জায়গা নেই। রোগীদের নিয়ে আসা অ্যাম্বুল্যান্স বা ব্যক্তিগত গাড়িগুলি দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তার পাশেই। রোগী ওঠা-নামার সময় অন্য গাড়ি যাওয়ার জায়গা থাকে না বলে তাঁদের অভিযোগ। এর সঙ্গেই রাস্তার পাশে ফলের রস, খাবার বিক্রির জন্য দাঁড়িয়ে থাকা ভ্যান বা ঠেলা গাড়ির জন্যও রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে যায়, দাবি তাঁদের।
স্থানীয় বাসিন্দা মালতি হাজরা, মলয় ভট্টাচার্যরা জানান, যানজটের জেরে শুরু সাধারণ মানুষ না, রোগী নিয়ে আসা অ্যাম্বুল্যান্সও দাঁড়িয়ে যায়। দেবু চট্টোপাধ্যায়, উজ্জ্বল মল্লিকেরাও বলেন, ‘‘খোসবাগান থেকে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে যাওয়ার রাস্তা বা পাকমারা গলি সমস্ত রাস্তাতেই গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকার ফলে যানজট হয়।’’ প্রশাসন সে ভাবে নজর দেয় না বলেও দাবি তাঁদের।
জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, ‘‘ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অবৈধ দখলদার সরানোও হয়।’’ লাগাতার অভিযান চালানোরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy