প্রতীকী ছবি।
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় রবিবার থেকে সোমবার, এই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাত জন করোনা আক্রান্তের হদিস মিলেছে। এমনটাই জানিয়েছেন জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ অনুরাধা দেব। এর বাইরে এক স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা-আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে ‘চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস’ (সিএলডব্লিউ)।
মঙ্গলবার অনুরাধাদেবী সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘‘রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সাত জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ মিলেছে। তাঁদের বেশির ভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। প্রত্যেককেই দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে।’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, এই সাত জনের দু’জনের বাড়ি বারাবনি ব্লকের দু’টি পঞ্চায়েত এলাকায়। অনুরাধাদেবী বলেন, ‘‘ওই দু’জনই পরিযায়ী শ্রমিক। এক জন সম্প্রতি মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছিলেন। অন্য জন আসানসোলের একটি ওষুধের দোকানের কর্মী।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানায়, আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের এবং পরিবারের সদস্যদের নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বাড়ি লাগোয়া অঞ্চল ঘিরে রেখেছে ব্লক প্রশাসন। মঙ্গলবার বারাবনি ব্লকের ওই দুই এলাকায় জীবাণুনাশক ছড়ানো হয়। পাশাপাশি, দোমহানি বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রশাসন মাইকে করে অপ্রয়োজনে কেউ যাতে বাড়ির বাইরে না বেরোন, সে জন্য অনুরোধ জানায়। আগামী তিন দিন ওষুধের দোকান ছাড়া, ওই এলাকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পাশাপাশি, স্বাস্থ্য দফতর জানায়, ওই সাত জনের মধ্যে দু’জন কুলটি ও বার্নপুরের ধরমপুরের বাসিন্দা। কুলটির করোনা আক্রান্ত মহারাষ্ট্র থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিক। সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরলে, তাঁকে একটি লজে নিভৃতবাসে রাখা হয়েছিল। রানিগঞ্জের রতিবাটি পঞ্চায়েত এবং অণ্ডালের অন্ডালের রামপ্রসাদপুর পঞ্চায়েতের দু’টি এলাকাতেও দু’জনের শরীরে করোনা-সংক্রমণ মিলেছে। দু’জনেই পরিযায়ী শ্রমিক। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রানিগঞ্জের শ্রমিকটি দিল্লি থেকে বিহারের লক্ষ্মীসরাই, সেখান থেকে বাসে রাজ্যের চিত্তরঞ্জন এবং পরে অটো চড়ে বাড়ি ফেরেন। অণ্ডালের শ্রমিক মুম্বই থেকে ট্রাকে রাজ্যে ফেরেন। রোগীদের সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিকে ‘কনটেনমেন্ট জ়োন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান বিডিও (অণ্ডাল) ঋত্বিক হাজরা, রানিগঞ্জের আলুগড়িয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ মনোজ শর্মারা। পাশাপাশি, জীবাণুনাশক ছড়ানো-সহ অন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপও করা হয়েছে।
এই সাত জন ছাড়া, চিত্তরঞ্জনের বাসিন্দা তাঁদের এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীও করোনা-আক্রান্ত বলে জানান ‘চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস’-এর (সিএলডব্লিউ) জনসংযোগ আধিকারিক মন্তার সিংহ। তিনি জানান, ওই কর্মী কারখানার হাসপাতালে কর্মরত। তিনি এই মুহূর্তে কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মন্তার সিংহ বলেন, ‘‘ওই হাসপাতালেই তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে করোনা-সংক্রমণের হদিস মিলেছে।’’ কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, রোগীর পরিবারের সদস্যেরা বাড়িতেই নিভৃতবাসে রয়েছেন। তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন, এমন ২৯ জনকেও নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy