বর্ধমানের কার্জন গেট চত্বরের সভায়। নিজস্ব চিত্র
কোথাও বড় স্ক্রিন টাঙিয়ে, কোথাও আবার টিভির পর্দায়, ২১ জুলাইয়ের সভায় এ বার এ ভাবেই যোগ দিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। সভা শুনতে গিয়ে নানা জায়গায় স্বাস্থ্য-বিধি ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব তা মানতে নারাজ।
জেলা তৃণমূলের তরফে এ দিন কার্জন গেটের সামনে বড় স্ক্রিনে সভা দেখার ব্যবস্থা করা হয়। ছিলেন দলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ-সহ নেতানেত্রীরা। বর্ধমান শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডেও সভা দেখার ব্যবস্থা হয়। বর্ধমানে পৌঁছনোর আগে স্বপনবাবু নাদনঘাট থানার সামনে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন। পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুর কালীতলা বাজার, পাটুলি বাজার, হাটকালনার উত্তর গোয়ারা, শাসপুরে বড় টিভিতে সভা দেখানোর ব্যবস্থা হয়। কালনা শহরের পুরশ্রী মঞ্চে লাগানো হয় বড় পর্দা। মহিলা তৃণমূলের তরফে কালনা শহরে সামিয়ানা কর্মসূচি পালন করে চারাগাছ বিলি করা হয়।
কাটোয়ার শাখারিপট্টিতে বড় পর্দায় প্রোজেক্টরের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শোনার ব্যবস্থা করা হয়। কাটোয়া মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় ত্রিপল টাঙিয়ে টিভি বসানো হয়। কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কর্মীদের সঙ্গে যোগ দেন।
ভাতার, মন্তেশ্বর, মেমারি থেকে গলসি, জেলার সব জায়গাতেই এ দিন বিভিন্ন বুথে সভা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপনবাবু বলেন, ‘‘জেলায় ৩৬১২টি বুথে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কার্জন গেট, উল্লাস মোড়, কালনার সুলতানপুরের মতো কিছু জায়গায় বড় স্ক্রিনে দেখানো হয়েছে। অন্যত্র টিভিতে সভা দেখেছেন সাধারণ মানুষজন।’’
বিজেপির জেলা সভাপতি (বর্ধমান সদর) সন্দীপ নন্দীর অভিযোগ, ‘‘রাজ্য জুড়ে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে দূরত্ববিধি না মেনে রাজনীতি করা তৃণমূলের পক্ষেই সম্ভব।’’ স্বপনবাবুর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘এ সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই পরিস্থিতিতে লোক জমায়েত করে সভা বিজেপি করে। বিধি মেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভার্চুয়াল সভা’র সম্প্রচার দেখেছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy