সভাস্থল পরিদর্শনে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।। নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে যখন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, ঠিক তখনই পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপি নেতা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সভাস্থল পরিদর্শন করলেন তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
শনিবার বিকেলে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ঝাঁঝরা এলাকায় রয়েছে বিজেপির জনসভা। তার আগে বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব অভিযোগ তুলেছিল, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব মঞ্চ তৈরি করায় হুমকি দিচ্ছেন ডেকরেটর্সের কর্মীদের। জেলা বিজেপির নেতারা থানায় গিয়ে তৃণমূল এবং নরেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন। পুলিশের সামনে তাঁরা একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শুক্রবার সন্ধ্যায় দেখা গেল তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির সভাস্থল এবং মঞ্চ পরিদর্শনে এসেছেন। জনসভায় আসা বিজেপিকর্মীদের পানীয় জলের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা যেন করা হয়, সে বিষয়ে দলের কর্মীদের নির্দেশ দেন বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘সভায় যাঁরা আসবেন তাঁরা তো এই এলাকারই। তাই তাদের সুবিধা অসুবিধার দিকটি দেখা বিধায়ক হিসাবে আমার কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।’’
ঝাঁঝরা এলাকায় বিজেপির সভাস্থলে রবিবারই তৃণমূল পাল্টা সভার আয়োজন করেছে। ওই জনসভায় স্থানীয় সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হার পাশাপাশি তৃণমূলনেত্রী সায়নী ঘোষ থাকবেন বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্রনাথ। বিজেপি আসানসোল জেলার প্রবক্তা বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় যদিও বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁর ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে ডেকোরেটর্সের লোকজনকে তুলে নিয়ে গিয়ে হুমকি দেন। প্যান্ডেল তৈরি না করার শাসানিও দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার হঠাৎ তাঁর সভাস্থল পরিদর্শন অনেকটা জুতো মেরে গরুদানের মতো ব্যাপার।’’ তৃণমূল বিধায়কের সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহারের আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাপ্পা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy