তৃণমূলের কর্মসূচি। নিজস্ব চিত্র
আবাস যোজনা নিয়ে নানা রকম অপপ্রচার করছেন বিরোধীরা। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তার জবাব দেবেন ‘দিদির দূতেরা’। মঙ্গলবার এক বৈঠকে এমনই দাবি করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার নজরুল মঞ্চে ওই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এ দিন দুপুরে ওই কর্মসূচি নিয়ে জেলার কী পরিকল্পনা, তা ব্যাখা করেন জেলা সভাপতি।
শাসক দল সূত্রের খবর, আবাস যোজনা থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত রাজ্য সরকারের ১৫টি প্রকল্প নিয়ে দু’টি পর্যায়ে মানুষের কাছে যাবেন তৃণমূল নেতারা। প্রথম পর্যায়ে শহর বা অঞ্চলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রকল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে। পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘দিদির দূতেরা’ সরকারি কর্মসূচি সম্পর্কে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বোঝাবেন। জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি থেকে কেউ যাতে বাদ না পড়েন, যাঁর যেটা প্রাপ্য, সেটা পৌঁছে দেওয়াই এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। যদি কেউ প্রকল্প থেকে বাদ পড়েন, সেটা কেন হল তা-ও কর্মীরা খতিয়ে দেখবেন।’’
আবাস প্রকল্প নিয়ে গ্রামে-গ্রামে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের একাংশ প্রকাশ্যেই দাবি করছেন, তালিকায় অনেক ভুল ধরা পড়ছে। বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হচ্ছে। ব্লক, পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিরোধীরা। জেলা তৃণমূল সভাপতির যদিও দাবি, ‘‘আবাস প্রকল্প নিয়ে চারদিকে অপপ্রচার চলছে। অথচ, স্বচ্ছ্ব ভাবে তালিকা তৈরির নির্দেশ তো মুখ্যমন্ত্রীই দিয়েছেন। উপভোক্তাদের নাম আছে, কিন্তু বাড়ি রয়েছে, এমনটা তো নয়। তাহলে সেটা দুর্নীতি নয়। দুর্নীতি যাতে না হয়, সে জন্যই সমীক্ষা।’’ দলের নেতাদের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘‘কেউ যদি পদের অপব্যবহার করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দিদির দূতেরা বাড়ি-বাড়ি যাবেন, কোনও ভুল থাকলে তা লিপিবদ্ধ করবেন।’’ বৈঠকে ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, দলের জেলা কমিটির চেয়ারম্যান অশোক বিশ্বাসেরা।
বর্ধমান ১ ব্লকের তালিতে দলের কর্মিসভা থেকে তৃণমূলের কৃষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসুও এই কর্মসূচি নিয়ে বার্তা দেন। তিনি বলেন, ‘‘দিদির রক্ষাকবচ কর্মসূচি নিবিড় ভাবে করা হবে। আমরা ঠিক করেছি, গ্রামে যাঁরা বিরোধী দল করেন তাঁদের কাছে গিয়ে খোঁজখবর করব, তাঁরা সরকারি সুবিধা ঠিক মতো পাচ্ছেন কি না। কারণ, কোনও দল সরকারে এলে তাঁরা দল না দেখে মানুষের সেবা করে।’’ তাঁর দাবি, বিরোধীরা বারবার রাজ্যে উন্নয়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন, তাই তাঁদের কাছে গিয়েই খোঁজ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy