Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
TMC

নেতার মন্তব্যে স্বজনপোষণ, দাবি বিরোধীদের

রবিবার ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে গুসকরা বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় পুরনো কর্মীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুসকরা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২০ ০০:২৫
Share: Save:

তৃণমূলের ‘স্বীকৃতি সম্মেলনে’ বিদায়ী পুরপ্রধানের বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে গুসকরায়। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের আমলে স্বজনপোষণ করে কর্মী নিয়োগের যে অভিযোগ উঠেছিল তা পক্ষান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন বিদায়ী পুরপ্রধান বুর্দ্ধেন্দু রায়। যদিও বুর্দ্ধেন্দুবাবুর দাবি, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যখ্যা করা হচ্ছে। নিয়ম মেনেই পুরসভায় কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।

রবিবার ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে গুসকরা বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় পুরনো কর্মীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার-সহ আউশগ্রামের দু’টি ব্লকের দলের বিভিন্ন পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বুর্দ্ধেন্দুবাবু বলেন, “চেয়ারম্যান হওয়ার পরে আমার ক্ষমতাবলে প্রত্যেক কাউন্সিলরের রেকমেন্ডেশনে একটা করে চাকরি দিয়েছিলাম গুসকরা পুরসভায়।’’ এ ছাড়া যে সমস্ত তৃণমূল কর্মী তাঁর সঙ্গে কলেজে রাজনীতি করেছেন, অত্যাচারিত হয়েছে, নব্বইয়ের দশকে দলের কার্যালয় আগলে বসে থেকেছেন তাঁদেরও পুরসভায় ডেকে ডেকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। কয়েকজনের উদাহরণও দেন। এতেই স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।

সিপিএমের বিদায়ী কাউন্সিলর মনোজ সাউয়ের দাবি, ‘‘তৃণমূলের সময়ে পুরসভা চুক্তিভিত্তিতে যে নিয়োগ করেছে, তাতে দ্বিচারিতা এবং স্বজনপোষণ হয়েছে, এই অভিযোগ আমরা আগেও করেছিলাম। এ দিনের পুরপ্রধানের বক্তব্যে সেটাই প্রমাণ হল।’’ তাঁর অভিযোগ, বুর্দ্ধেন্দুবাবুর সময়ে নিয়ম না মেনেই পুরসভায় প্রচুর অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কর্মী নিয়োগের জন্য বলা হলেও শোনা হয়নি। সিপিএমের প্রাক্তন পুরপ্রধান বিনোদ চৌধুরীরও দাবি, “কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে চেয়ারম্যানের নিজস্ব কোনও ক্ষমতা নেই। সরকারি ভাবে অনুমতি নিয়ে কাউন্সিলরদের বোর্ড মিটিংয়ে অনুমোদন করিয়েই পুরসভায় কর্মী নিয়োগ করতে হয়।’’ বিজেপি নেতা সুশান্ত বিশ্বাসেরও অভিযোগ, পুরসভা যোগ্যতার নিরিখে নিয়োগ না করে স্বজনপোষণ করে কর্মী নিয়োগ করেছে। ফলে মাঝেমধ্যেই বেতন নিয়ে সমস্যা হয়।

যদিও বুর্দ্ধেন্দুবাবুর দাবি, ‘‘বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বোর্ড মিটিংয়ে অনুমোদন করিয়েই কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।” বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার বলেন, ‘‘কাদের কী ভাবে পুরসভায় নিয়োগ করা হয়েছিল, জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC CPM Politics Government Guskhara
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy