প্রতীকী ছবি
কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন থেকে কর্মীকে রাস্তায় ফেলে মারধর— বারাবনিতে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে গোলমাল পাকছে বারবার। গত চার মাসে এই বিধানসভা এলাকায় ছ’বার দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি বেধেছে বলে অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় তাদের শক্তি বাড়তে দেখে হামলা চালাচ্ছে শাসক দল। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, লোকসভা ভোটের পরে এলাকায় তেমন প্রভাব বিস্তার করতে না পেয়ে ভুয়ো অভিযোগ তুলছে বিজেপি।
রূপনারায়ণপুরের সামডি রোড এলাকায় শনিবার বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগের ঘটনায় সোমবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এ দিন ট্যুইট করে দাবি করেছেন, সময় এলে ঘটনায় জড়িতদের সংবিধান ও আইন মেনে ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়া হবে। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, এই ঘটনায় তাদের কেউ জড়িত নয়।
গত লোকসভা ভোটে বারাবানি বিধানসভা এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার ভোটে তৃণমূলের থেকে এগিয়েছিল বিজেপি। বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট রয়েছে। তৃণমূলের এক নেতা দাবি করেন, ‘‘সালানপুর ও বারাবনির যে জায়গাগুলিতে ফল বেশি খারাপ হয়েছে, সেখানে দলের শক্তিবৃদ্ধিতে নজর দেওয়া হয়েছে।’’ বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, সেই ‘শক্তিবৃদ্ধি’ করতে গিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা একের পরে এক তাঁদের কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন লাগাচ্ছে। তাঁদের কর্মীদের মারধরও করা হচ্ছে। চার মাসে সালানপুর ও বারাবনিতে চারটি কার্যালয়ে হামলা হয়েছে বলে দাবি বিজেপি নেতাদের।
রূপনারায়ণপুরের সামডি রোড এলাকায় শনিবার এক বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে লাথি-চড়-ঘুষি ও বেল্টে করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। নন্দকিশোর চৌহান নামে ওই ব্যক্তির অভিযোগ, হামলাকারীরা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার রাত পর্যন্ত সালানপুর থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সোমবার সালানপুরের বিজেপি নেতা গোপাল রায়ের হুঁশিয়ারি, ‘‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সামডি রোডের ঘটনায় জড়িতেরা ধরা না পড়লে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে।’’ দলের জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের অভিযোগ, ‘‘সালানপুর-বারাবনিতে আমাদের লোকজনের উপরে অকথ্য অত্যাচার হচ্ছে। অনেকে বাড়িতে থাকতে ভয় পাচ্ছেন।’’
তৃণমূল অবশ্য হামলার কথা মানতে চায়নি। দলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারির পাল্টা দাবি, ‘‘সালানপুর ও বারাবনিতে বিজেপির মধ্যে কোন্দল মাথাচাড়া দিয়েছে। জেলা সভাপতি মনোনয়ন নিয়েও দলের অন্দরে ক্ষোভ রয়েছে। এ সব ঘটনা তারই বহিপ্রকাশ। কোনও কারণ ছাড়াই তৃণমূলকে দোষারোপ করা হচ্ছে।’’ দলের সালানপুর ব্লক সভাপতি মহম্মদ আরমান দাবি করেন, সালানপুরের ঘটনা নেহাতই পাড়ার বিবাদ। তার মধ্যে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই।
পুলিশ জানায়, অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy