অভিযোগ, এই ঘর দখল করেই কার্যালয়। ছবি: বিকাশ মশান
নেতাদের আশ্বাসই সার। আশ্বাস দিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারিও। কিন্তু তার পরেও তৃণমূলের তিন বছর ধরে দখল করে রাখা ঘর ফিরে পাননি বলে অভিযোগ দুর্গাপুরের কোকআভেন থানার গোপীনাথপুরের বাসিন্দা সুকুমার পালের। বিষয়টি নিয়ে ফের খোঁজখবর করার আশ্বাস দিয়েছেন জিতেন্দ্রবাবু।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশি ছুঁইছুঁই সুকুমারবাবুর বাড়ির বাইরের দিকের একটি ঘর গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে অস্থায়ী দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য চেয়ে নেন পাড়ার কয়েকজন তৃণমূলকর্মী। সুকুমারবাবুর দাবি, ছেলেকে এলাকার একটি বেসরকারি কারখানায় কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে তিনি ঘর দিতে রাজি হন। কিন্তু নির্বাচন মিটলেও ঘর ফেরত মেলেনি। হয়নি চাকরিও। সুকুমারবাবুর ছেলে পার্থসারথিবাবুর আক্ষেপ, ‘‘কারখানার কাজে আমাকে নিয়োগ করা হবে, এই বলে ঘর নেওয়া হয়েছিল। আজও সে কাজ পেলাম না।’’
এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ঘর ফেরত চাইতে গেলে স্থানীয় তৃণমূলকর্মীদের একাংশের হুমকি শুনতে হয়েছে বলেও অভিযোগ সুকুমারবাবুর। তাঁর কথায়, ‘‘ওরা বলেছে, ওদের যখন ইচ্ছে হবে তখন ঘর ছাড়বে।’’ তাঁর স্ত্রী আরতিদেবী বলেন, ‘‘আমার স্বামী হৃদরোগী। অস্ত্রোপচার হয়েছে। আরও নানা শারীরিক সমস্যা রয়েছে। কী যে বিপদে পড়েছি বলার নয়!’’ সুকুমারবাবু জানান, গত বছর সেপ্টেম্বরে থানায় তিনি জোর করে ঘর দখল করে রাখার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, বেশ কয়েক দফা দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ করা হয়। কিন্তু সমস্যা মেটেনি।
ঘটনার কথা জেনে নভেম্বরে জিতেন্দ্রবাবু জানিয়েছিলেন, এ ভাবে ঘর দখল তৃণমূলের নীতি নয়। দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। দলের দুর্গাপুর ৩ নম্বর ব্লক সভাপতি ভীমসেন মণ্ডলও জানিয়েছিলেন, জেলা সভাপতি তাঁকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলার আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু এর পরে তিন মাস কেটে গেলেও পরিস্থিতি বদলায়নি।
তবে এলাকার তৃণমূলকর্মীদের একাংশের দাবি, কারখানায় নিয়োগ বন্ধ হওয়ায় সুকুমারবাবুর ছেলেকে কাজ দেওয়া যায়নি। এ দিকে, ঘরটি এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দারা বিভিন্ন দরকারে সেখানে আসেন। তাই নতুন করে অন্য কোথাও দলীয় কার্যালয় গড়ে তোলায় মত নেই তাঁদের, জানান ওই কর্মীরা। প্রয়োজনে সুকুমারবাবুর কাছে ঘরটি কিনেও নিতে চান তাঁরা। কিন্তু সুকুমারবাবু রাজি নন বলে জানান।
ব্লক সভাপতি ভীমসেনবাবু বলেন, ‘‘আমি দু’পক্ষের সঙ্গে বেশ কয়েক বার কথা বলেছি। কিন্তু এখনও সমাধান হয়নি।’’ দলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘কী বিষয়, ফের খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy