নানা জায়গায় যন্ত্র দিয়ে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বর্ধমানের ইদিলপুরে দামোদরে। নিজস্ব চিত্র
মাসখানেক আগে ‘লকডাউন’-এর মাঝে বালি তোলার অনুমতি দিয়েছিল সরকার। তার কিছু দিন পরে বালি মজুত করার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসনও। কিন্তু বালি ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল, ‘লকডাউন’-এর সময়েও সরকারকে রাজস্ব জমা দিতে হয়েছে। ফলে, ১৫ জুনের পরেও খানিকটা সময় বালি তোলার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন তাঁরা। সে আর্জি মেনে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে সেচ দফতর জানিয়েছে, ৩০ জুনের মধ্যে নদীতে বালি তোলার জন্য তৈরি অস্থায়ী রাস্তার কাঠামো তুলে ফেলতে হবে।
বুধবার জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘চারদিকে সরকারের বিভিন্ন পরিকাঠামোগত কাজ চলছে। সে জন্য বালির প্রয়োজন রয়েছে। সে কারণেই জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বালি তোলার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ রাতে নির্দেশিকাও জারি করেন তিনি। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) শশী চৌধুরী বলেন, ‘‘লকডাউনের পরে বালি তোলার অনুমতি দেওয়া হয়। তখন মজুত করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। মজুত করার অনুমতি অনেক পরে দেওয়া হয়েছে। সে জন্য সরকারি পরিকাঠামোর কাজেও প্রয়োজনীয় বালি মজুত নেই।’’
এ ছাড়া, ‘আনলক ১’ পর্বে বেসরকারি ভাবে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। সেখানেও প্রচুর বালির প্রয়োজন। জেলার অন্যতম বালি ব্যবসায়ী যোগেন্দ্র বর্মন বলেন, ‘‘লকডাউনের জন্য ব্যবসার পক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বালির ব্যবসা বন্ধ ছিল। আমাদের আবেদনে জেলা প্রশাসন সাড়া দেওয়ায় সুবিধা হবে।’’
পূর্ব বর্ধমানে চারশোর কাছাকাছি বালি খাদান থাকলেও, ‘লকডাউন’-এর পরে দেড়শোটির মতো খাদানে বালি তোলা শুরু হয়েছিল। তার মধ্যে সেচ দফতরের অনুমতি নিয়ে ২২টি খাদানে বালি তোলার জন্য বাঁশের কাঠামো দিয়ে অস্থায়ী রাস্তা তৈরি হয়। সেচ দফতরের দামোদর ডিভিশনের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ভাস্করসূর্য মণ্ডল বলেন, ‘‘১৫ জুন থেকে ৩০ জুনের মধ্যে নদীতে বালি তোলার জন্য গড়া অস্থায়ী কাঠামো ভেঙে দিতে হবে।’’ সেচ দফতর ও পরিবেশবিদদের দাবি, জল বাড়ার সঙ্গে ওই সব কাঠামো না ভাঙলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তার ফলে, পাড় ভাঙার প্রবণতা দেখা দেয় নদীতে।
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর অবশ্য দাবি করা হয়েছে, লকডাউন পর্বে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রায় ৫০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে। এ ছাড়া, নিয়মিত বালির গাড়ি ‘ওভারলোডিং’ বাবদ মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায় হয়েছে। এই সময়ে বালি তোলা বন্ধ থাকলে রাজস্ব আদায়েও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে জেলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy